ডেস্ক: মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার চেষ্টার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন মারিয়া রেসা, দিমিত্রি মুরাতভ। নরওয়ের নোবেল কমিটির চেয়ার-ওম্যান মেরিট বেরিট রেস বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য নিজেদের দেশে যে লড়াই তাঁরা লড়েছেন তারই স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দেওয়া হল। পুরস্কারপ্রাপ্তির কথা জানানোর সময় নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, গণতন্ত্র ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পূর্বশর্ত হিসেবে বাকস্বাধীনতা রক্ষার প্রয়াসে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্যই এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। পুরস্কারের অর্থ সমান দু’ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে তাঁদের মধ্যে।
২০২১- এর নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন ফিলিপিন্সের সাংবাদিক মারিয়া রেসা ও রুশ সাংবাদিক দমিত্রি মুরাতোভ। জানা যায়, এই দুই সাংবাদিককে তাঁদের কাজের জন্য নিজেদের দেশে রোষের মুখে পড়তে হয়েছে। তারপরও থেমে থাকেননি তাঁরা। সেই কাজকেই স্বীকৃতি দিল নোবেল কমিটি।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে, রেসা তদন্তকারী সাংবাদিকতার স্বার্থে একটি ডিজিটাল মিডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। এদিকে দিমিত্রি আন্দ্রেইভিচ মুরাতভ নোভাজা গাজেটা নামক সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠাতা করেন রাশিয়ায়। নোবেল কমিটির মতে, আজ এই সংবাপত্রটি সেই দেশের সবচেয়ে স্বাধীন সংবাদপত্র। কমিটি বলেছে যে মুরাতো কয়েক দশক ধরে রাশিয়ায় ‘ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে’ বাকস্বাধীনতা রক্ষা করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: লখিমপুর কাণ্ডে যোগী সরকারের পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নয় সুপ্রিম কোর্ট
ফিলিপিন্সের সাংবাদিক মারিয়া বর্তমানে ‘ব়্যাপলার’ নামে নামে একটি নিউজ ওয়েবসাইট-এর সিইও। এর আগে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেছেন তিনি। ২০২০-তে ফিলিপিন্সের বিতর্কিত অ্যান্টি সাইবার ক্রাইম আইনে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সেই ঘটনায় সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল মানবাধিকার সংগঠনগুলো। ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবর নিয়েও লড়াই করেছেন তিনি। সেই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৮-তে টাইম ম্যাগাজিনে পারসন অব দ্য ইয়ার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল মারিয়ার নাম।
১৯৩৫ সালে শেষবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন এক সাংবাদিক। নিজের দেশে যুদ্ধ পরবর্তী রণসজ্জার গোপন ছবি ফাঁস করেছিলেন জার্মান সাংবাদিক কার্ল ভন কার্ল ফন অসিয়েত্স্কি। এরপরই নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।