ভোটার তালিকা ও বাংলা ভাষা আন্দোলন, মমতার নিশানায় কেন্দ্র ও বিজেপি

ভোটার তালিকা সংশোধন এবং বাংলা ভাষার মর্যাদা— এই দুই ইস্যুকে সামনে রেখেই ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান রণকৌশল স্থির করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের সভা থেকে কেন্দ্র ও বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, ভোটার তালিকা থেকে বেছে বেছে নাম বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। সঙ্গে রাজ্যের কর্মচারীদেরও ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনের ‘স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ (SIR) প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে মমতা বলেন, “কারও ফর্ম ফিলাপ করানোর নামে ডিটেলস নিয়ে নাম কেটে দিচ্ছে। পরে এনআরসি-র নোটিস ধরিয়ে দেবে।” আদিবাসী, দলিত, সংখ্যালঘু, হিন্দু-মুসলমান— সবাইকে ভোটার তালিকায় রাখার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শুধু এপিক কার্ড থাকলেই চলবে না। নতুন নিয়মে আবার নাম তোলার ফাঁদ পাতা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “২০০২ সালের আগে যাঁদের জন্ম, তাঁদের বাবা-মায়ের বার্থ সার্টিফিকেট চাইছে। সেই সময়ে তো অধিকাংশের সার্টিফিকেটই ছিল না। তাহলে এই নিয়ম কীসের ভিত্তিতে?” এরপর মমতা তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, “যাঁরা আইন করছেন, তাঁদের মা-বাবার সার্টিফিকেট আছে তো?”

বাংলা ভাষার অবমাননা নিয়েও বিজেপিকে নিশানা করেন মমতা। বলেন, “বাংলা ভাষা না থাকলে জাতীয় সঙ্গীত কোন ভাষায় লেখা? রবীন্দ্রনাথ, স্বামীজি, বিদ্যাসাগর, নেতাজি— সকলেই তো বাংলাতেই কথা বলতেন। বিজেপি নেতারা অপদার্থ। বলে বসছে, বাংলা ভাষা বলে কিছু নেই!”

এছাড়াও, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে রাজ্যের দুই ইআরও-র বিরুদ্ধে পদক্ষেপের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পাশে থাকার বার্তা দেন মমতা। বলেন, “তোমার নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে? কোন আইনে সাসপেন্ড করছ? আমি কারও শাস্তি হতে দেব না।”

Related posts

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পুজো উদ্বোধনে অমিত শাহ, মঞ্চ থেকেই বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের ডাক

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, সব মামলাতেই মুক্তি—জেলমুক্তি কবে?

১ অক্টোবর থেকে আধার আপডেটের খরচ বাড়ছে ২৫-৫০%! দেখে নিন নতুন হারে কত লাগবে