আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিগ্রহের ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গিয়াসুদ্দিন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাক্তন ছাত্রনেতা। উপাচার্যকে নিগ্রহের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর রবিবার গিয়াসুদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আলিয়া-কাণ্ড নিয়ে এ বার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার প্রশংসাও করেছেন তিনি। পাশাপাশি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হেনস্তার ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করার কথা মনে করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্ন থেকে তিনি বলেন, “পুলিশ যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়ে নিয়েছে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়াশোনা করে তারা সকলে ভাল। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভ থাকতেই পারে। কিন্তু তবুও যে একটু কটু কথা বলেছে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আমাদের এখানে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়।”
সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘আলিয়াতে পুলিশ যা পদক্ষেপ করার তা করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্বভারতী-বোলপুর নিয়ে যা হচ্ছে সেটার ব্যাপারে দেখুন! সেখানে ক’জন গ্রেফতার হয়েছে? বিশ্বভারতীর ভিসি গ্রেফতার হয়েছেন?’’
উপাচার্যকে নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত গিয়াসুদ্দিন মণ্ডলকে এদিন বারাসত আদালতে তোলা হয়। তাকে সাতদিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। অন্যদিকে ছাত্রদের হাতে নিগৃহীত উপাচার্য মহম্মদ আলি আর আলিয়ায় ফিরতে চান না বলে জানিয়েছেন। যাদবপুরের রসায়ন বিভাগে ফিরে যেতে চান তিনি। রাজ্যপাল তথা রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য জগদীপ ধনকড় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে নিজের ইচ্ছার কথা জানাবেন আলিয়ার উপাচার্য।
মহম্মদ আলি যখন নিজের ইচ্ছার কথা জানাচ্ছেন, একই সময়ে তাঁর প্রতি ন্যায় বিচারের দাবিতে আলিয়ার পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসে অবস্থানে বসেন সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের দাবি, উপাচার্যকে নিগ্রহের পিছনে যতজন জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করতে হবে। উল্লেখ্য, হস্টেল, ডিজিটাল ক্লাসরুম-সহ একাধিক দাবিতে ১৮৫ দিন ধরে অবস্থান চলছে আলিয়ায়। আন্দোলন গতি পেয়েছে উপাচার্য নিগ্রহের ঘটনায়।