উচ্চ মাধ্যমিকে চিরাচরিত অ্যাডমিট কার্ড প্রথার অবসান ঘটল। বিশেষ কাগজে ছাপানো অ্যাডমিট কার্ড আর দেবে না উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সেমেস্টার ব্যবস্থা চালুর পর তৃতীয় সেমেস্টার থেকে যে অনলাইন অ্যাডমিট ব্যবস্থা চালু হয়েছিল, এবার ফাইনাল সেমেস্টারেও সেই পদ্ধতিতেই হাঁটছে সংসদ। স্কুলগুলি সংসদের পোর্টালে লগ ইন করে অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট বার করবে এবং তাতে প্রধান শিক্ষকের সই ও স্কুলের স্ট্যাম্প দিয়ে পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেবে।
তবে পুরোনো বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতির ছাত্রছাত্রীরা আগের মতো অফলাইন অ্যাডমিটই পাবেন। ২৮ জানুয়ারি সংসদের ক্যাম্প অফিস থেকে তাঁদের অ্যাডমিট বিলি করা হবে। ইতিমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার অধিকাংশ কাজই অনলাইন হয়ে যাওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষের দৌড়ঝাঁপ অনেকটাই কমেছে। অনলাইন অ্যাডমিট ব্যবস্থা চালু হওয়ায় সেই চাপ আরও হালকা হবে বলে মনে করছে সংসদ।
রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট অবশ্য আগের মতোই দেওয়া হবে। তবে পরীক্ষার্থীদের একাংশের আশঙ্কা, সাধারণ কাগজে প্রিন্ট করা অ্যাডমিট কার্ড নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা অন্য কাগজের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। সেই কারণে তাঁরা ল্যামিনেশন করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। যদিও সংসদের এক কর্তা জানিয়েছেন, “মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড বয়স প্রমাণপত্র বা সরকারি কাজের গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। উচ্চ মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ডের ব্যবহার ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। ফলে চিন্তার কিছু নেই।”
কাগজের ব্যবহার কমাতে সংসদ যে দ্রুত পদক্ষেপ করছে তার প্রমাণ মিলেছে আরও এক উদ্যোগে—বিদ্যাসাগর ভবন খালি করতে পুরোনো উত্তরপত্র নষ্ট করার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। পাশাপাশি গেস্ট রুমও নতুন করে সাজানো হচ্ছে। সেমেস্টার ব্যবস্থার অতিরিক্ত ব্যয়ভার বহনের জন্য সরকারের কাছ থেকে ১১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা পেয়েছে সংসদ। যদিও কিছু স্কুল পরীক্ষা খাতে ফি কমানোর দাবিতে অনড়।