কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নিজেদের আধিপত্য আরও সুদৃঢ় করল তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি)। ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ছয়টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে তিনটি আসনে বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে দল। বাকি তিনটিতেই জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরাই। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে জেতা মাদারিহাট আসনটি উপনির্বাচনে আর ধরে রাখতে পারল না বিজেপি।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, নৈহাটিতে তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে বিজেপি প্রার্থী রূপক মিত্রকে ৪৮,৯১২ ভোটে পরাজিত করেন। ২০২১ সালে পার্থ ভৌমিক যে ১৮,৬৭৫ ভোটের ব্যবধান তৈরি করেছিলেন, সনৎ দে সেই ব্যবধানকে অনেকটাই ছাড়িয়ে গিয়েছেন। জয়ের পর সনৎ দে বলেন, “এই জয় দিদির নেতৃত্ব এবং তাঁর উন্নয়নমূলক কাজের জন্য। এই জয় দিদির দৃষ্টিভঙ্গি এবং জনগণের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতির স্পষ্ট প্রতিফলন।”
সিতাইতে সঙ্গীতা রায় বিজেপির দীপক কুমার রায়কে ১,৩০,১৫৬ ভোটে পরাজিত করেন। এ বারের এই জয় ২০২১ সালে তাঁর স্বামী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া-র ১০,১১২ ভোটের ব্যবধানকেও ম্লান করে দেয়।
হাড়োয়ায় তৃণমূল প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলাম এআইএসএফ প্রার্থী পিয়ারুল ইসলামকে ১,৩১,৩৮৮ ভোটে পরাজিত করেন। বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস ১৩,৫৭০ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, মাদারিহাট (আলিপুরদুয়ার), তালড্যাংরা (বাঁকুড়া), এবং মেদিনীপুর (পশ্চিম মেদিনীপুর) আসনেও তৃণমূল প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন।
ফলাফলের প্রবণতা দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “আমার অন্তরের অন্তন্তল থেকে মা-মাটি-মানুষকে জানাই প্রণাম, জোহার ও সালাম”।
তিনি আরও লেখেন, “আপনাদের এই আশীর্বাদ আমাদের আগামীর চলার পথে কাজ করার উৎসাহ দেবে। মানুষই আমাদের ভরসা। আমরা সবাই সাধারণ মানুষ, এটাই আমাদের পরিচয়”।
উপনির্বাচনের ফলাফলকে সামলে রেখে মমতা আবারও মনে করিয়ে দেন, “আমরা জমিদার নই, মানুষের পাহারাদার। আপনাদের আশিস আজীবন হৃদয় স্পর্শ করে থাকবে”।