কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তৃতীয় নোটিস রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের। মেন হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষকে এর আগে দু’টি চিঠি পাঠিয়েছিল কমিশন। সূত্রের খবর, আগের পাঠানো চিঠির যে জবাব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিয়েছেন, তাতে সন্তুষ্ট নয় কমিশন। আর সেই কারণেই নতুন করে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় বলেন, ‘‘আমরা দ্বিতীয় যে চিঠি পাঠিয়েছিলাম, তার জবাবে সন্তুষ্ট নই। তাই আবার চিঠি পাঠিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল ওরা রেকর্ড ঠিকমতো বজায় রেখেছে। কিন্তু তেমন কোনও প্রমাণ আমরা পাইনি। হস্টেলের আবাসিকদের সংখ্যা এবং র্যাগিং বিরোধী কোনও তথ্য ঠিকমতো দেওয়া হয়নি। উলটে প্রশ্ন করা হয়েছে, আমরা কীভাবে এর মধ্যে ঢুকতে পারি। মৃত পড়ুয়ার এখনও ১৮ বছর হয়নি। তাই ওই পড়ুয়া শিশু সুরক্ষা কমিশনের আওতাভুক্ত। আমি আশ্চর্য যে, শিশু সুরক্ষা কমিশন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একেবারেই সচেতন নয়।’’
জানা গিয়েছে, ছাত্রমৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। শুক্রবার রাতে অভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়ার মৃত্যুর নেপথ্যে র্যাগিংয়ের রয়েছে বলে মনে করছে তদন্ত কমিটি। এর আগে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তদন্তকারী দলও জানিয়েছিল, যাদবপুরে ওই রাতে র্যাগিং হয়েছিল, তার প্রামণ মিলেছে। এ দিন কমিশনের তরফে ফের তৃতীয় চিঠি পাঠানো হল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কমিশন সূত্রে খবর, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে যে তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে, তা যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি, হস্টেলের আবাসিকদের সংখ্যা থেকে শুরু করে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি সংক্রান্ত যে তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে চেয়ে পাঠানো হয়েছিল, তা ঠিক ভাবে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ কমিশনের। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রেকর্ড যে ভাবে বজায় রাখা উচিত, সেই ভাবে রাখা হয়নি বলেও উল্লেখ করেছে কমিশন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইউজিসি-র যে সব নিয়ম রয়েছে, তা-ও সঠিক ভাবে মানা হয়নি বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কমিশন।