কলকাতা: রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে মন্ত্রীসভা থেকে সরানোর সুপারিশ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পিটিআই সূত্রে এমনটাই খবর। অন্য দিকে, এই বিষয়টিকে ‘হাস্যকর’ বলে কটাক্ষ করলেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু গত ৩০ মার্চ মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ‘ওয়েবকুপা’র সভা ডাকা হয়েছিল, যার সভাপতিত্ব করেছিলেন ব্রাত্য। যা নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের সমান বলে দাবি ছিল বিরোধীদের। সেই অভিযোগের রেশ ধরেই এ বার রাজ্যপাল ব্রাত্যকে মন্ত্রীসভা থেকে সরানোর জন্য সুপারিশ করলেন সরকারকে।
রাজভবন সূত্রের খবর, ৩০ মার্চ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কনভেনশনে বিধায়ক, সাংসদ এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এটি নির্বাচন আচরণবিধি ভেঙেছে। আর সেই কারণেই শিক্ষামন্ত্রীকে সরানোর জন্য রাজ্য সরকারকে বলেছেন। রাজভবন নবান্নের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছে ব্রাত্যকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার।
এ ব্যাপারে ব্রাত্য এক্স (আগের টুইটার) হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘আমি দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে যদি রাজ্যপালকে সরানোর সুপারিশ করতাম, তা হলে সেটা যেমন হাস্যকর হত, এটাও ঠিক তেমনই হাস্যকর। আমি কোনও নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে থাকলে তা নির্বাচন কমিশনের নজরে আনার অধিকার রয়েছে যে কোনও রাজনৈতিক দলের। কিন্তু রাজ্যপাল এমন একটি অভিযোগ তুলে নিজের সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করেছেন এবং নিজের রাজনৈতিক পরিচয়ও প্রকাশ্যে এনে ফেলেছেন। দ্বিতীয়ত, ভারতের সংবিধান অনুযায়ী কোনও রাজ্যের মন্ত্রীর অপসারণ বা নিয়োগের সুপারিশ করতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল শুধু নিজের আসল রংই দেখালেন না, নিজের সাংবিধানিক সীমাও লঙ্ঘন করলেন।’’