রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নতুন গতি। মঙ্গলবার থেকে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে নথি যাচাই শুরু হয়েছে। তার পরের দিন, বুধবার থেকেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ১৩ হাজার ৪২১টি শূন্যপদ পূরণের প্রক্রিয়াও শুরু করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শিক্ষা দপ্তরের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ও অভিভাবকত্বে এই বছরেই প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার স্বচ্ছ নিয়োগ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডলে জানান, বুধবার থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অনলাইন পোর্টাল খুলে দেওয়া হচ্ছে, যেখানে টেট উত্তীর্ণ যোগ্য প্রার্থীরা রাজ্যের সরকার অনুমোদিত ও সরকার পৃষ্ঠপোষকতা প্রাপ্ত প্রাথমিক ও জুনিয়র বেসিক বিদ্যালয়গুলিতে সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারবেন। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর প্রজ্ঞা ও নির্দেশনায় প্রাথমিক শিক্ষার ভিত আরও শক্তিশালী হবে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় থাকবে।
যদিও একই সময়ে নিয়োগ বাধাগ্রস্ত করতে একের পর এক মামলা দায়ের হচ্ছে কলকাতা হাই কোর্টে। মামলার পুরোভাগে রয়েছেন বাম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ ফিরদৌস শামিম। অভিযোগ, যখন একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে প্রথম পর্যায়ের মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন, তখনই মামলা দায়ের করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার থেকে নথি যাচাইয়ের কাজ শুরু করেছে কমিশন।
শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, নবম-দশমে ২৩ হাজার ২১২টি শূন্যপদ, একাদশ-দ্বাদশে রয়েছে ১২ হাজার ৫১৪টি শূন্যপদ। প্রাথমিক স্তরে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে ১৩ হাজার ৪২১টি শূন্যপদে। আপার প্রাইমারির ক্ষেত্রে কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছে ১২ হাজার ৭০০ জন প্রার্থীকে, যার মধ্যে দশ হাজারের বেশি নিয়োগ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন। অর্থাৎ, এই সংখ্যা মিলিয়ে ৫০ হাজারেরও বেশি। সব মিলিয়ে এই বছরে শিক্ষক নিয়োগের সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়াতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। শূন্যপদ আরও বাড়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না শিক্ষা দপ্তর।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের আবেদন সম্পূর্ণ অনলাইনে করা যাবে। এর জন্য নতুন পোর্টাল চালু করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গতিময়তা আনতে কমিশন ও পর্ষদ— উভয় পক্ষই প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে।