বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠকে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। এই হামলায় ২৫ জন পর্যটক-সহ ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নেতৃত্বে ডাকা এই বৈঠক সরকারের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ ঘোষণার পরের দিন অনুষ্ঠিত হয়।
সরকার যে পদক্ষেপগুলি নিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমানো, পাকিস্তানি সামরিক দূতকে বহিষ্কার, ১৯৬০ সালের ইন্দাস জলের চুক্তি স্থগিত রাখা এবং অটারী স্থল সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া।
বৈঠকে বিরোধীরা মূলত প্রশ্ন তোলে, যেখানে এই হামলা ঘটে, সেই বৈসরন উপত্যকায় কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল না। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এই প্রশ্ন প্রথম তোলেন এবং তাতে সায় দেন রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং-সহ আরও অনেকে।
সরকার ব্যাখ্যা দেয় যে, বৈসরন এলাকাটি সাধারণত জুন মাসে শুরু হওয়া অমরনাথ যাত্রার আগে নিরাপত্তা বলয়ে আনা হয়। তখনই আনুষ্ঠানিকভাবে পথটি খোলা হয় এবং তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয় সেনা ও আধা-সামরিক বাহিনী।
সরকার জানায়, স্থানীয় কিছু ট্যুর অপারেটর ২০ এপ্রিল থেকেই পর্যটকদের সেখানে নিয়ে যেতে শুরু করে, যার কোনও আগাম-নিবন্ধন বা প্রশাসনিক অনুমোদন ছিল না। ফলে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়নি।
বৈঠকে অংশ নেন বিভিন্ন দলের নেতারা। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী ও খাড়গে ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা, সুপ্রিয়া সুলে (এনসিপি-এসপি), প্রফুল পটেল (এনসিপি), শশ্মিত পাত্র (বিজেডি), শ্রীকান্ত শিন্ডে (শিবসেনা), প্রেমচন্দ গুপ্ত (আরজেডি), তিরুচি শিবা (ডিএমকে) ও রাম গোপাল যাদব (সমাজবাদী পার্টি), প্রমুখ।