দুবাই : টি২০ বিশ্বকাপের ১৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার জয় পেল অস্ট্রেলিয়া। তাও আবার দাপুটে জয়। অন্যদিকে ২০১৯-এর পর ফের একবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হল নিউজিল্যান্ডের।
প্রথমে ইনিংসে যে ভাবে বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করছিলেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং জুটি মার্টিন গাপ্টিল এবং গ্লেন মিচেল, তাতে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু হেজেলউডের বলে আউট হয়ে যান গ্লেন মিচেল। তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন প্রথম দিকে বিশেষ কিছু করতেই পারেননি। ফলে, প্রথম দশ ওভারে নিউজিল্যান্ডের স্কোর গিয়ে ঠেকে মাত্র ৫৭।
কিন্তু একাদশ ওভারেই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিলেন অধিনায়ক উইলিয়ামসনই। অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ মিচেল স্টার্ককে দিয়ে প্রথম ওভারটা করিয়েই তাঁকে তুলে নেন। একাদশ ওভারে ফের স্টার্ককে নিয়ে আসেন ফিঞ্চ। ওই ওভারে ১৯ রান তোলে নিউজিল্যান্ড।
যে উইলিয়ামসন ফর্মের বাইরে ছিলেন, তিনি হাত খুললেন। ৩২ বলে দুরন্ত অর্ধশতরান করে ফেলেন তিনি। কার্যত একার হাতে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসকে টেনে নিয়ে গেলেন। শেষে অবশ্য শতরান থেকে ১৫ রান দূরে থেমে যেতে হয় তাঁকে। তবে লোয়ার অর্ডারে নামা জিমি নিশাম এবং টিম সাইফার্টটা দলের স্কোরকে টি২০ বিশ্বকাপের সব ফাইনালের মধ্যে সর্বোচ্চতে নিএ যান ।
ভালো স্কোর খাড়া করার পর নিউজিল্যান্ডের মনোবল আরও বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য দরকার ছিল শুরুতেই একটা উইকেটের। আর সেটা এনে দেন সেই ট্রেন্ট বোল্ট। তৃতীয় ওভারেই ফিঞ্চকে ফিরিয়ে দেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া তখন প্রবল চাপে পড়ে যায়।
কিন্তু এখান থেকেই ম্যাচে প্রবল ভাবে ফিরে আসে অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন মিচেল মার্শ। অস্ট্রেলিয়ার ওপরে আস্কিং রেটের চাপটা তিনিই কমান কিছু আগ্রাসী শট খেলে। এর পর সেখানে যুক্ত হন ডেভিড ওয়ার্নার। ক্রমে ওয়ার্নার-মার্শ জুটি নিউজিল্যান্ডের ওপরে চাপ বাড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার স্কোরকে দুর্দান্ত ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে।
এ দিকে, মার্শকে টপকে গিয়ে আগের নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করে ফেলেন ওয়ার্নার। দ্বাদশ ওভারেই দলগত শতরানে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। ১৩তম ওভারে ডেভিড ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে নিউজিল্যান্ডকে সামান্য স্বপ্ন দেখান বোল্ট। যদিও তা একদমই ক্ষণস্থায়ী ছিল।
ওয়ার্নার ফিরতেই এ বার ব্যাট চলতে শুরু করে মার্শের। অন্যদিকে, ক্রিজে এসেই ব্যাট চালাতে শুরু করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ১৫তম ওভারেই ম্যাচ থেকে বেরিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। এ বার অস্ট্রেলিয়ার জয় ছিল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।