কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিল ব্রাজিল। ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে ২-৪ ব্যবধানে হেরে গেল তারা।
নির্ধারিত সময়ে কোনও গোল হয়নি। অতিরিক্ত সময়ে প্রথমার্ধের একেবারে শেষমুহূর্তে গোল করেন নেমার। ১১৭ মিনিটে ব্রুনো পেটকোভিচ সমতা ফেরান। তার জেরে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ।
টাইব্রেকারে চারটি শটেই গোল করে ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু ব্রাজিলের প্রথম শট রুখে দেন লিভাকোভিচ। যিনি ‘রাউন্ড অফ ১৬’-এ জাপানের বিরুদ্ধেও পেনাল্টি রুখে দিয়েছিলেন। লিভাকোভিচ বাঁচিয়ে দেন রদ্রিগোর শট। পরের দুটি শটে গোল করতে পারলেও ব্রাজিলের চতুর্থ শট জালে জড়ায়নি। চতুর্থ শটে মার্কুইনোস পোস্টে মারেন। তার ফলে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে ক্রোয়েশিয়া।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, প্রথম থেকে ব্রাজিলকে চাপে রাখার চেষ্টা করতে থাকে ক্রোয়েশিয়া। ব্রাজিলকে খেলার জন্য একটুও খোলা জায়গা দিচ্ছিল না তারা। বলের নিয়ন্ত্রণ বেশি ছিল ক্রোয়েশিয়ার পায়ে। মূলত প্রতি আক্রমণে গোলের চেষ্টা করছিল ক্রোয়েশিয়া। অন্য দিকে, নেমার, ভিনিসিয়াস-সমৃদ্ধ ব্রাজিল শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকলেও কিছুতেই গোলের মুখ খুঁজে পায়নি। যত বারই ক্রোয়েশিয়ার অর্ধে বল গিয়ে, ব্রাজিলের ফুটবলারদের ছেঁকে ধরেছেন লুকা মদ্রিচরা, গাভারদিয়লরা।
জয়ের পর ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাতকো দালিচ বলেন, “আমাদের দলের খেলোয়াড়দের মানসিক দৃঢ়তা মারাত্মক। আমরা কখনও হাল ছেড়ে দিই না। আমরা আজ সবকিছুর জন্য তৈরি ছিলাম। আমরা জানতাম, যত ম্যাচ এগোবে, তত আমাদের সুযোগ বাড়বে”। তিনি আরও বলেন, “এই জয়টা ক্রোয়েশিয়ার মানুষের জন্য। প্রথম থেকে শেষ মিনিট পর্যন্ত দুর্দান্ত ম্যাচ হল। এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট দলকে আমরা ছিটকে দিয়েছি। এখানেই আমাদের যাত্রাটা শেষ হচ্ছে না। আরও এগিয়ে যেতে চাই আমরা”।