প্রথম পাতা খেলা ডুরান্ডে নতুন অধ্যায়: ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ফাইনালে ডায়মন্ড হারবার

ডুরান্ডে নতুন অধ্যায়: ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ফাইনালে ডায়মন্ড হারবার

148 views
A+A-
Reset

কলকাতা ময়দানে ফুটবলের ইতিহাসে নতুন পালক যোগ করল ডায়মন্ড হারবার এফসি। বুধবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সেমিফাইনালে ১৬ বারের চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ডুরান্ড কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ক্লাব। লাল-হলুদদের দাপটের মাঝেও নির্ভুল ফিনিশিং আর গোলরক্ষক মিরশাদের দুর্দান্ত নৈপুণ্য শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল কলকাতার এই নবীন ক্লাবের পক্ষে।

শনিবার শিরোপা লড়াইয়ে ডায়মন্ড হারবারের প্রতিপক্ষ নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড।

সুযোগ নষ্টে ভুগল ইস্টবেঙ্গল

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল ইস্টবেঙ্গল। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ, ধারাবাহিক আক্রমণ—সবই ছিল, কিন্তু ফল আসেনি। দিয়ামানতাকোস, মিগুয়েল, বিপিন সিংহ—একজনও ডায়মন্ড হারবারের গোলরক্ষক মিরশাদের প্রাচীর ভাঙতে পারেননি। প্রাক্তন লাল-হলুদ গোলরক্ষক নিজের পুরনো দলকেই একের পর এক আক্রমণ থেকে রক্ষা করেন।

অন্যদিকে প্রথমার্ধে কিছুটা চাপে থাকলেও পাল্টা আক্রমণে বারবার ধাক্কা দিয়েছে ডায়মন্ড হারবার। ২৪ মিনিটে স্যামুয়েলের শট পোস্টে না লাগলে আগেই এগিয়ে যেতে পারত তারা।

গোলের লড়াই: কোর্তাজ়ার-আনোয়ার-জবি

দ্বিতীয়ার্ধে খেলার মোড় ঘুরতে শুরু করে। ৬৬ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে পাওয়া বলে দুর্দান্ত ব্যাক ভলিতে গোল করেন মিকেল কোর্তাজ়ার। হঠাৎ করেই এগিয়ে যায় ডায়মন্ড হারবার।

যদিও ইস্টবেঙ্গল দ্রুত জবাব দেয়। মাত্র এক মিনিট পর আনোয়ার আলির দূরপাল্লার শটে সমতায় ফেরে ম্যাচ। মুহূর্তের জন্য মনে হচ্ছিল লাল-হলুদই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেবে।

কিন্তু ৮৩ মিনিটে সব আশা শেষ করে দেন ইস্টবেঙ্গলেরই প্রাক্তন স্ট্রাইকার জবি জাস্টিন। বক্সের ভেতর জটলা থেকে গোল করে ডায়মন্ড হারবারকে আবার এগিয়ে দেন তিনি। এই গোলই নিশ্চিত করে ইতিহাস।

নতুন শক্তির উত্থান

ডার্বি জয়ের পর ডুরান্ড কাপেও ইস্টবেঙ্গলকে হারানো নিঃসন্দেহে বিশাল প্রাপ্তি ডায়মন্ড হারবার এফসির জন্য। অল্প ক’দিনের মধ্যেই কলকাতার ফুটবলে নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে তারা।

এখন গোটা ফুটবল মহলের নজর শনিবারের ফাইনালে। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে কি তবে শিরোপাও জিতে নেবে কলকাতার এই নতুন সেনসেশন? সময়ই তার উত্তর দেবে।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.