সঞ্জয় হাজরা: শুক্রবার কলকাতার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিষ্ঠা দিবস। লাল-হলুদের ঐতিহ্যবাহী এই দিনটি ঘিরে ক্লাবের পক্ষ থেকে সম্মানিত করা হয় ক্রীড়া জগতের একাধিক কৃতী ব্যক্তিত্বকে।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন ভারতের প্রাক্তন হকি দলের গোলকিপার এবং অর্জুন, পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ সম্মানপ্রাপ্ত পিআর শ্রীজেশ। তাঁকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে ‘ভারত গৌরব’ সম্মানে ভূষিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে সেরা সমর্থক হিসেবে সম্মান পেলেন ননী গোপাল বণিক এবং মন্টু সাহা। সেরা রেফারি হিসেবে ‘পঙ্কজ গুপ্ত স্মৃতি সম্মান’ দেওয়া হয় করুণা চক্রবর্তী ও কার্তিক ইন্দুকে। আন্তর্জাতিক দাবাড়ু আরন্যক গুহ সম্মানিত হন ‘সেরা দাবাড়ু’ হিসেবে।

প্রয়াত পি.কে. বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে প্রবর্তিত ‘সেরা কোচ সম্মান’ তুলে দেওয়া হয় সঞ্জয় সেন ও অ্যান্টনি অ্যান্ড্রুজের হাতে। সঙ্গীতা বাসফোর্ডকে দেওয়া হয় ‘প্রাইড অফ ইস্টবেঙ্গল’ সম্মান।
চিত্র সাংবাদিক হিসেবে পুষ্পেন সরকার সম্মানিত করেন উৎপল সরকারকে, এবং সাংবাদিক ও ধারাভাষ্যকার পল্লব বসু মল্লিক পান ‘অজয় বসু স্মৃতি সম্মান’। বর্ষসেরা মহিলা ফুটবলারের সম্মান পান সৌমা গোলোধ।
জীবনকৃতী সম্মানে সম্মানিত হন ক্লাবের প্রাক্তন দুই কিংবদন্তি সত্যজিৎ মিত্র ও মিহির বসু।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেই বিখ্যাত পাঁচজন ফুটবলার যাঁরা ৫০ বছর আগে মোহনবাগানকে ৫-০ গোলে হারিয়েছিলেন: গৌতম সরকার, শ্যাম থাপা, সমরেশ চৌধুরী, রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় ও তরুণ বসু।
এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের প্রাক্তন খেলোয়াড়েরা, আইএফএসসি-র অনির্বাণ দত্ত, সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়সহ বহু বিশিষ্টজন।

এই অনুষ্ঠান কেবল ইস্টবেঙ্গলের গৌরবময় ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো নয়, বরং আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করারও এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।

ছবি: লেখক