চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারাল ভারত। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ২২৮ রান করে, যার মধ্যে তওহিদ হৃদয়ের দারুণ শতরান এবং জাকের আলির ৬৮ রান উল্লেখযোগ্য। তবে ভারতের পেসার মহম্মদ শামির ৫ উইকেটের সামনে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ বেশ চাপে পড়ে। রান তাড়া করতে নেমে ভারত সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়, যেখানে শুভমন গিলের ধৈর্যশীল শতরান জয়ের পথ দেখায়। তবে ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির ফর্ম নিয়ে চিন্তা রয়ে গেছে।
বাংলাদেশের ইনিংস: হৃদয়ের শতরান, শামির ধ্বংসযজ্ঞ
ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ চাপে পড়ে। পাওয়ার প্লেতে একের পর এক উইকেট হারায় তারা। ভারতের পেসার মহম্মদ শামি এবং হর্ষিত প্যাটেলের বোলিংয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যাটাররা দ্রুত আউট হয়ে যান। প্রথম ওভারেই শামি সৌম্য সরকারকে আউট করে বাংলাদেশকে চাপে ফেলেন। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজ, জাকের আলি, তানজিম হাসান সাকিব এবং তাসকিন আহমেদের উইকেট তুলে নেন তিনি। ১০ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন শামি, যা বাংলাদেশের রানকে সীমিত করতে বড় ভূমিকা রাখে।
তবে বাংলাদেশের ইনিংসে একমাত্র উজ্জ্বল মুখ ছিলেন তওহিদ হৃদয়। চাপের মুখে দাঁড়িয়ে তিনি দারুণ একটি শতরান করেন। তাঁর ১০০ রানের ইনিংসে ১২টি চার এবং ২টি ছক্কা ছিল। জাকের আলিও ৬৮ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন, যা বাংলাদেশকে ২০০ রানের গণ্ডি পেরোতে সাহায্য করে। ভারতের ফিল্ডিংয়ে কিছু ভুল, বিশেষ করে ক্যাচ ফসকানোর সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ২২৮ রান করে।
ভারতের জয়: গিলের শতরানে সহজ জয়
রান তাড়া করতে নেমে ভারতের ইনিংসের শুরুতেই কিছু চাপ তৈরি হয়। তবে শুভমন গিলের ধৈর্যশীল ব্যাটিং ভারতকে জয়ের পথে এগিয়ে নেয়। গিল ১২৫ বলে ১০০ রানের একটি মন্থর কিন্তু কার্যকর ইনিংস খেলেন। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। তাঁর এই ইনিংসে ১০টি চার এবং ১টি ছক্কা ছিল।
অন্যদিকে, ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির ফর্ম নিয়ে চিন্তা রয়ে গেছে। তিনি মাত্র ১৮ রান করে আউট হন, যা ভারতের জন্য একটি বড় চিন্তার বিষয়। তবে গিলের পাশাপাশি শিখর ধাওয়ান এবং হার্দিক পাণ্ডিয়ার ছোট ছোট ইনিংস ভারতকে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। ২১ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে জয় পায় ভারত।
ম্যাচের হাইলাইটস
- তওহিদ হৃদয়ের ১০০ রানের ইনিংস।
- মহম্মদ শামির ১০ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট।
- শুভমন গিলের ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস।
- বিরাট কোহলির ফর্ম নিয়ে চিন্তা।
এই জয়ের মাধ্যমে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শক্তিশালী সূচনা করেছে। তবে বাংলাদেশের জন্য তওহিদ হৃদয় এবং জাকের আলির পারফরম্যান্স আশার আলো দেখাচ্ছে। আগামী ম্যাচগুলোর জন্য উভয় দলই তাদের দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে চাইবে।