টি২০ সিরিজের মতো ওয়ানডে সিরিজেও একতরফা আধিপত্য বজায় রাখল ভারত। সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয় পেল রোহিত ব্রিগেড। জাদেজার নিখুঁত বোলিং, হর্ষিত রানার দুরন্ত অভিষেকের পর শুভমান গিল ও শ্রেয়স আইয়ারের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে সহজেই জয় তুলে নিল ভারত। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি সিরিজের শুরুটা দুর্দান্ত হল টিম ইন্ডিয়ার জন্য।
টসে জিতে ব্যাট নেওয়া ইংল্যান্ড ২৪৮ রানে অলআউট হওয়ার পর থেকেই ভারতের জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে হঠাৎ করেই ধাক্কা খায় ভারত। ১৯ রানের মধ্যে দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল (১৫) ও রোহিত শর্মা (২) ফিরে যান। তবে সেই চাপ সামলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান শ্রেয়স আইয়ার (৫৯)। মাত্র ৩৬ বলে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে তিনি আউট না হলে ভারত আরও আগেই জয় নিশ্চিত করতে পারত।
শুভমান গিল (৮৭) দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে দলকে স্থিতিশীল করেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন অক্ষর প্যাটেল (৫২)। যদিও ম্যাচের শেষ দিকে দুজনেই আউট হয়ে গেলে অযথা জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়। কেএল রাহুল মাত্র ২ রান করে ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে দল। তবে রবীন্দ্র জাদেজা (১২*) ও হার্দিক পাণ্ডিয়া (৯*) অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ম্যাচ শেষ করেন। তখনও ৬৮ বল বাকি ছিল।
যদিও এমন জয়ের দিনেও রোহিত শর্মার ব্যর্থতা ভারতীয় সমর্থকদের চিন্তায় ফেলেছে। বিরাট কোহলির অনুপস্থিতিতে রোহিতের দিকেই নজর ছিল। কিন্তু মাত্র ২ রান করেই ফ্লিক করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফলে তাঁর ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল।
এর আগে, নাগপুরে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। এদিন ভারতের জার্সিতে ওয়ানডে অভিষেক হয় যশস্বী জয়সওয়াল ও হর্ষিত রানার। শুরুতে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিল সল্ট (৪৩) ও বেন ডাকেট দ্রুত রান তুলছিলেন। ৯ ওভারেই স্কোর পৌঁছে যায় ৭৫-তে। তবে রান আউট হয়ে ফেরেন সল্ট। এরপর হর্ষিত রানার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ডাকেট (৩২) আউট হন।
সেখান থেকে ইংল্যান্ডকে আরও চাপে ফেলে দেন মহম্মদ শামি ও রবীন্দ্র জাদেজা। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ইনিংস ২৪৮ রানে থামে। নাগপুরের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে এই রান যথেষ্ট কম বলে মনে হয়েছিল। ভারতীয় বোলারদের দাপটেই ম্যাচের ভাগ্য তখনই অনেকটা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল।