আরও একটি ফাইনাল, আরও একটি ডার্বি জয়! ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে আবারও ট্রফি জিতল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। যুবভারতীতে অনুষ্ঠিত আইএফএ শিল্ড ফাইনালে রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে টাইব্রেকারে জয় পেল সবুজ-মেরুন শিবির। চলতি মরসুমের প্রথম দুটি ডার্বি হেরেছিল তারা, কিন্তু ফাইনালে সমস্ত হিসেব উল্টে দিল হোসে মোলিনার ছেলেরা।
প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল ছিল অধিক দাপুটে। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে গোল করে লিড নেয় লাল-হলুদ শিবির। মহেশ নাওরেম সিংহের তৈরি বল থেকে সঠিক জায়গায় দাঁড়িয়ে পায়ের টোকায় গোল করেন হামিদ। গোলরক্ষক বিশাল কাইথের নাগালের বাইরে চলে যায় সেই বল। কিন্তু বিরতির ঠিক আগে সাহাল আব্দুল সামাদের তৈরি আক্রমণ থেকে আপুইয়ার গোলে সমতা ফেরায় মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেও নির্ধারিত সময়ে আর গোল হয়নি। হিরোশি, রবসন, ম্যাকলারেন— সকলেই সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হন। অতিরিক্ত সময়েও একই ছবি। সাবধানী ফুটবল, সুযোগ হারানো, আর টাইব্রেকারের অপেক্ষা।
শেষ পর্যন্ত ভাগ্য নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে। সেখানে সেরা দিন কাটালেন বিশাল কাইথ। ইস্টবেঙ্গলের নতুন ডিফেন্ডার জয় গুপ্তের শট বাঁচিয়ে বাগানকে জয়ের পথে এগিয়ে দেন তিনি। তাঁর সেই সেভই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। অবশেষে টাইব্রেকারে জয় পায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস।
হিরো বিশাল, ব্যর্থ কামিংস
ম্যাচে একের পর এক সুযোগ নষ্ট করেন অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার জেসন কামিংস। প্রথমার্ধে একটি পেনাল্টি পেয়েও বল উড়িয়ে দেন তিনি। অন্যদিকে, বিশাল কাইথ বারবার দলকে বাঁচিয়ে তুলে নেন। টাইব্রেকারে তাঁর সেভই এনে দিল সবুজ-মেরুন শিবিরে গর্বের প্রথম ট্রফি।
ইস্টবেঙ্গলের লড়াই প্রশংসনীয়
পুরো ম্যাচে বল দখল ও আক্রমণের দিক থেকে এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। ছোট পাসে, দ্রুত মুভে তারা তৈরি করেছিল বহু সুযোগ। কিন্তু গোলের মুখে নির্ভুল ফিনিশিংয়ের অভাবেই ম্যাচ হাতছাড়া হয় তাদের।
এই জয়ের সঙ্গে চলতি মরসুমে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। পরের ম্যাচগুলিতে এবার লক্ষ্য, এই জয়ের ধারাকে অব্যাহত রাখা।