রোহিত শর্মার বিধ্বংসী সেঞ্চুরির সাক্ষী থাকল কটকের বারাবাতি স্টেডিয়াম। তাঁর ব্যাটিং ঝড়েই দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪ উইকেটের ব্যবধানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করল ভারত। এই জয়ের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতিও মজবুত করল টিম ইন্ডিয়া।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। ওপেনিং জুটিতে ফিল সল্ট ও বেন ডাকেট ঝড় তোলেন, ৮১ রান যোগ করেন দু’জনে। এই জুটি ভাঙেন ওয়ানডেতে অভিষেক হওয়া বরুণ চক্রবর্তী। এরপর ডাকেটের (৫৬ বলে ৬৫) ইনিংস থামান রবীন্দ্র জাদেজা। মাঝের ওভারগুলিতে ইংল্যান্ডের রান তুলনামূলক ধীরগতির হয়ে যায়।
তার মধ্যেও জো রুট (৬৯) ইংল্যান্ডকে ভরসা দেন, তবে বাটলার (৩৪) হার্দিক পাণ্ডিয়ার বলে আউট হন। শেষদিকে লিয়াম লিভিংস্টোন ৩২ বলে ৪১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন, শেষ ওভারে রান আউট হন। সব মিলিয়ে ৩০৪ রানে থামে ইংল্যান্ডের ইনিংস।
জবাবে, ভারতের ইনিংস যেন এককথায় ‘রোহিত শো’। দীর্ঘদিন ধরে অফ ফর্ম নিয়ে চর্চা চললেও, এদিন তা একেবারে উড়িয়ে দিলেন হিটম্যান। মাত্র ৩০ বলে হাফসেঞ্চুরি, ৪টি চার ও ৪টি ছয়ে ঝড় তোলেন। খেলার মাঝপথে ফ্লাডলাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ম্যাচ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে, তবে রোহিতের ধামাকা চলতেই থাকে।
স্টেডিয়ামের দর্শকরা মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে উদযাপন করেন রোহিতের ৩২তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি, যা তিনি ছক্কা হাঁকিয়ে পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত ৯০ বলে ১১৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, যেখানে ছিল ১২টি চার ও ৭টি ছয়।
সহ-অধিনায়ক শুভমান গিলও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন, ৫২ বলে ৬০ রান করেন। তবে বিরাট কোহলির খারাপ সময় কাটছে না, মাত্র ৮ বলে ৫ রান করে আদিল রশিদের বলে আউট হন।
রোহিত আউট হওয়ার পর লক্ষ্যের দিকে ধীরে এগোয় ভারত। ৪৪ রান করে শ্রেয়স আইয়ার রান আউট হন, কেএল রাহুল (১০) ও হার্দিক পাণ্ডিয়া (১০) দ্রুত ফিরে যান। তবে অক্ষর প্যাটেল ও রবীন্দ্র জাদেজার জুটিতে সহজেই জয় পেয়ে যায় ভারত।
এই জয়ের ফলে ভারত ৩ ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করল। এবার তৃতীয় ম্যাচে জিতে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ টিম ইন্ডিয়ার সামনে।