ডেস্ক: করোনার প্রকোপে হাঁপিয়ে উঠেছে সবাই। সেই প্রথম থেকে শুরু হয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম। এর বাইরে মন চাইছে পাহাড়ের কোলে কোনও নিরিবিলি স্থান। দুর্গা পুজোর আগমনী বার্তা এখন আকাশে-বাতাসে। অনেকে পুজোর ছুটিতেই কলকাতার বাইরে ঘুরতে বেরিয়ে যান। আর হাতেগোনা কয়েকদিন, তারপরেই দুর্গাপুজো। কথাতেই আছে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে ফুল। এবারের পুজোয় দূরে কোথাও যেতে চাইছেন? সাত-পাঁচ না ভেবে দুগ্গা দুগ্গা বলে বেড়িয়েই পড়ুন। ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার ভালো জায়গা এই সময় পাহাড়। ঘুরে আসুন তাকদাহ, তিনচুলা, লেপচা জগত।
লে
দার্জিলিং থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার দূরত্বে রয়েছে লেপচাজগত। লেপচাজগত হল এমন এক পর্যটন কেন্দ্র যেখানে চোখ মেললেই দেখতে পাবেন তুষারাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘা। আর যেহেতু আপনার পুজোয় মাত্র ৪ দিনের ছুটি তাই অনাহাসে ঘুরে আসতে পারেন এই পাহাড়ি গ্রামটায়।
ব্রিটিশরা আসার পর পরিচিতি পেয়েছিল এই আদিবাসী গ্রাম এখন যা জনপ্রিয় ‘উইকেন্ড ডেস্টিনেশন’! ওক, পাইন, রডোডেনড্রনে মোড়া রাস্তার দু’ধার। ‘মেঘ এখানে গাভীর মতো চরে’— যা মাঝে মাঝেই ঢেকে দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। আকাশের মুখ ভার না থাকলে অবশ্য কাঞ্চনজঙ্ঘা হতাশ করবে না আপনাকে। সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখার স্বর্গীয় অভিজ্ঞতাটা কিছুতেই মিস্ করবেন না। বাহারি ফুল ছাড়াও প্রচুর পাখি চোখে পড়বে এখানে।
পাইনগাছে ঘেরা এই গ্রামে রয়েছে হাতে গোনা কয়েকটা হোমস্টে। আপনি যদি ভাবেন যে, সবাই গিয়ে ওখানেই ভীড় করবে, তাহলে তারও উপায় নেই। আর সোলো ট্রিপে যারা যেতে যান, তাদের জন্যও আদর্শ হল এই অফবিট। ঘুম পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই গ্রামে অনাহাসে নিজের মধ্যে হারিয়ে যেতে পারেন।লেপচাজগতে ভোর হয় কাঞ্চনজঙ্ঘার ওপর সানরাইসের দৃশ্য দিয়ে। সন্ধ্যেবেলা ঝিঁ ঝিঁর ডাক ছাড়া আর কিছুই পাবেন না। তবে ওপর থেকে আলোয় মোড়া দার্জিলিং-এর দৃশ্য ভালই দেখতে পাবেন। পাহাড়প্রেমীদের কাছে এই পাহাড়ে সন্ধ্যে নামার দৃশ্যও বিস্ময়কর।
কিভাবে যাবেন
কলকাতা থেকে বাস বা ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি, বিমানে গেলে বাগডোগরা চলে যান। এরপর ভাড়া বা শেয়ারড জীপে। দার্জিলিংয়ে যাওয়ার পথে ঘুম’এ নেমেও শেয়ার ট্যাক্সিতে যেতে পারেন। দার্জিলিং থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে লেপচাজগত। হাতে যদি বেশি সময় থাকে, লেপচাজগত ট্যুর প্যাকেজেই ঢুকিয়ে নিতে পারেন মিরিক, ঘুম, মানেভঞ্জন, বাতাসিয়া লুপ বা জোরপোখরির মতো জায়গাগুলো।