বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার, গ্রেফতার শুভেন্দু, দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ

ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে গেরুয়া শিবিরের সদস্যরা পালন করছেন ‘পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস।’ বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার কলকাতায়। সোমবার বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতারা।  সোমবার দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মধ্য কলকাতার রানি রাসমনি অ্যাভিনিউ। বিশৃঙ্খলতা ছড়ানোর অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি সৌমিত্র খাঁ, প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্ত-সহ বেশ কয়েকজন।


মূলত এ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার কী পরিস্থিতি কিংবা একুশের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর রাজ্যের কী ছবি তা বাংলার মানুষের কাছে তুলে ধরতেই এই পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। নারী নিগ্রহের ঘটনা থেকে টিকা নিয়ে কারচুপি, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের। তা নিয়েই এদিনের ধরণা।


ধরণা কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই যখন বিজেপি কর্মী নেতারা রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের দিকে আসছিলেন, অভিযোগ তখনই তাঁদের আটক করে কলকাতা পুলিশ। তখনও দিলীপ ঘোষরা এসে পৌঁছননি। যেহেতু রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে গেলেই বিজেপি কর্মীদের আটক করা হচ্ছে, তাই দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে পৌঁছে ধরণায় বসতেই পৌঁছয় পুলিশের বিশাল বাহিনী। শুরু হয় গোলমাল। দিলীপ, শুভেন্দুদের গান্ধি মূর্তির সামনে থেকে টেনে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, যারা ত্রিপুরায় গিয়ে বলে গণতন্ত্র নেই। তারা কী করে এখানে এই ধরনের কাজ করছে।

আরও পড়ুন: আলিমুদ্দিনে প্রথমবার তেরঙ্গা উত্তোলন করতে গিয়েই বিতর্কে জড়াল সিপিএম


বিজেপির অভিযোগ, কর্মসূচিতে পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দিয়েছে। রাস্তার দু’দিকে ব্যারিকেড করে ঘিরে দেওয়া হয়েছে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে। এমনকী মহিলাদেরও জোর করে টেনেহিঁচড়ে  প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়েছে। এই খবর করতে গিয়ে আহত হয়েছেন এক সাংবাদিকও।  পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ডিসি, সেন্ট্রাল আকাশ মেঘারিয়াও পৌঁছে যান ঘটনাস্থলে। তাঁর সামনেই পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের হাতাহাতির হয়। বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন তিনি।


প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “এটা তো কোনও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়। এটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। অতিমারি আইনে এ ভাবে কোথাও তো ভিড় করা যায় না বলেই প্রশাসন জানিয়েছে। সেই আইন বলেই প্রশাসন যা করার করবে।” 

Related posts

আজ ঝাড়গ্রাম ও ঘাটালে নির্বাচনী জনসভা, খড়্গপুরে রোড-শো মমতার

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের পদত্যাগের দাবি, রাজভবন ঘেরাও তৃণমূল শিক্ষা সেলের

ফের তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি, শুক্রবার কোন কোন জেলায় হাঁসফাঁস অবস্থা