হঠাৎ করেই কুয়োয় পড়ে গিয়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হল অন্তত ১৩ জন মহিলা ও শিশুর। একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন হয় এই ঘটনা। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরে।
প্রাথমিকভাবে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। জানা গিয়েছে ঘটনার সময় অন্তত ১৫ জনকে ওই কুয়ো থেকে উদ্ধার করতে পেরেছেন গ্রামবাসীরাই। নাহলে মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারত বলেই মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরে নেবুয়া নওরঙ্গিয়া নামের একটি গ্রামে চলছিল বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। আর ওই নুস্থান দেখার জন্য বাড়ির উঠোনে সবাই জড়ো হয়েছিলেন।
বিয়ে বাড়ির উঠোনেই ছিল একটি পুরনো কুয়ো, যায় মুখ ঢাকা দেওয়া ছিল কংক্রিটের স্ল্যাব দিয়ে। সেখানে কেউ বসে, কেউ দাঁড়িয়ে দেখছিলেন গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। এমন সময় হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে কুয়োর উপরে থাকা ওই কংক্রিটের স্ল্যাবটি। সঙ্গে সঙ্গে কুয়োর ভিতরে পড়ে যান কমকরেও ২৫ থেকে ৩০ জন মহিলা ও শিশু। কুয়োর ভিতরে জলের মধ্যে পরে অন্ধকারে ছটফট করতে থাকেন সবাই। মুহূর্তে হুলস্থুল পড়ে যায় বিয়েবাড়িতে উপস্থিত সবাই উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। উদ্ধার করা হয় শিশু ও মহিলা মিলিয়ে প্রায় ১৫ জনকে। কিন্তু তারপরেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি অন্তত ১৩ কে, যাঁদের মৃত্যু হয়েছে ওই কুয়োর জলে ডুবে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা ও শিশু।
এই ঘটনায় উত্তর প্রদেশের স্থানীয় জেলাশাসক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘কুয়োয় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় ১৩ জনের। বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন হয় এই দুর্ঘটনা।” প্রাথমিকভাবে মৃতদের পরিবারকে এককালীন ৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ারও ঘোষণা করেছেন সরকারি আধিকারিকরা।