কলকাতা: হরিদেবপুরের যুবক খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই মাথাচাড়া দিয়েছে ত্রিকোণ সম্পর্কের তত্ত্ব। এ বার শোনা যাচ্ছে, মৃত অয়ন মণ্ডলের মোবাইল ফোন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তাঁর বান্ধবী প্রীতি জানা ও তাঁর পরিবার। এমনকী ছিল ওই মোবাইলে?
পুলিশের অনুমান, ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও মোবাইল বন্দি করতেন অয়ন। তা দেখিয়ে হয়তো ব্ল্যাকমেলও করতেন দু’জনকে। আর তা নিয়ে দশমীর রাতে অয়নের সঙ্গে কিশোরী এবং তার মা বচসায় জড়িয়ে পড়ে। যার শেষ পরিণতি হয় মৃত্যু। এই সন্দেহ আদৌ কতটা সত্যি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অয়নের মোবাইলে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কোনো ছবি বা ভিডিও রয়েছে কি না, তার খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
দশমীর রাত থেকে নিখোঁজ ছিল অয়ন। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় মগরাহাট থেকে। এর পর তদন্ত উঠে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অয়ন কথা দিয়েও কথা রাখেননি। মোবাইলে স্টোর করা কোনো ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবিই সে আদতে ডিলিট করেনি। পুলিশি জেরায় এমনটাই জানিয়েছেন প্রীতি জানা ও তাঁর বাবা-মা।
শুধু বান্ধবী নয়, তাঁর মায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি মোবাইলবন্দি করতেন অয়ন। এর জেরেই অয়নের উপর চরম ক্ষোভ জন্মেছিল জানা পরিবারের। ফলে খুনের পর অয়নের মোবাইলটি অন্যত্র ফেলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। এই রহস্যের কিনারা করতে মৃত অয়নের ফোনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার পরে শনিবার রাত পর্যন্ত সেই ফোনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়ুন: সম্পর্কের জটিলতাতেই হরিদেবপুরে যুবক খুন? উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য