কলকাতা: আরও এক কিশোরীর প্রাণ কাড়ল অ্যাডিনোভাইরাস। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি ছিল বছর তেরোর ওই কিশোরী।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত কিশোরীর নাম ঊর্জাসাথী রায়চৌধুরী (১৩)। সে খড়গপুরের বাসিন্দা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসার পরই তাকে ভেন্টিলেটরে দিতে হয়। দেখা যায়, নিউমোনিয়া আক্রান্ত সে। ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর দেহে অ্যাডিনোভাইরাসের উপস্থিতি মেলে।
এর পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। শেষে তাকে ভেন্টিলেশনেও রাখা হয়। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসা চলাকালীন বুধবারই তার মৃত্যু হয়।
রাজ্যে ক্রমে বেড়ে চলেছে অ্যাডিনোভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। চলতি মরসুমে জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ জন শিশুর।
প্রসঙ্গত, অ্যাডিনোভাইরাসে সংক্রমণের সাধারণ উপসর্গ ধুম জ্বর,সর্দি-কাশি, সঙ্গে শ্বাসকষ্ট। শিশুদের জন্য প্রাণঘাতী হচ্ছে এই ভাইরাস। বড়দের ততটা কাবু করতে না পারলেও, তাঁদের থেকেও এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে শিশুদের শরীরে। তাই জ্বর-সর্দি-কাশি হলে বড়দেরও সাবধানে থাকতে হবে।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলেই থাবা বসায় অ্যাডিনোভাইরাস। প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণ ফ্লু-এর মতোই জ্বর, হাঁচি, সর্দি-কাশি, চোখ জ্বালা, ডায়েরিয়া, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে আক্রান্ত শিশুদের। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উপসর্গ থাকছে ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর্যন্ত। চরম পরিণতিতে ফুসফুসের সংক্রমণ এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।