কলকাতা: দশমীর সকাল থেকেই গঙ্গার ঘাটে বিসর্জনের প্রস্তুতি। কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ঘাটে থাকছে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ। জলে-স্থলে-আকাশে রয়েছে পুলিশের নজরদারি।
বিসর্জনের সময় ঘাটগুলিতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। ড্রোন উড়িয়েও নজরদারি চালানো হবে। গঙ্গাবক্ষে টহল দিচ্ছে রিভার ট্রাফিক পুলিশ। দশমীর দিন দুপুর সোয়া ১টা থেকে বন্ধ থাকবে চক্ররেল পরিষেবা।
সাধারণত, এ দিন প্রথমে বাড়ির এবং আবাসনের ঠাকুর বিসর্জন। এরপর একে একে বারোয়ারি পুজোর প্রতিমা বিসর্জনের পালা। শহরে প্রায় ৩৪টি ঘাটে বিসর্জন চলে। বাবুঘাট, জাজেস ঘাট, বাগবাজার ঘাট, আহিরীটোলা ঘাট-সহ গঙ্গার একাধিক ঘাটে চলবে বিসর্জন।
লালবাজারের সূত্র জানিয়েছে, দশমীর দুপুর থেকেই কলকাতার ৩৪টি ঘাটে থাকছে জোরদার পুলিশি ব্যবস্থা। প্রতিমা বিসর্জন হবে। তার জন্য ইতিমধ্যেই পুরসভার কর্তাদের সঙ্গে পুলিশকর্তারাও ঘাট পরিদর্শন করেছেন। পরিষ্কার রাখা হয়েছে সবকটি ঘাট।
একইসঙ্গে বিসর্জনের জন্য দক্ষিণ শহরতলি ও বেহালা অঞ্চলের মোট ৪০টি পুকুর, সরোবর ও ঝিল শনাক্ত করা হয়েছে। সেগুলিতেও থাকছে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা। নিরাপত্তার জন্য কলকাতা, এমনকী হাওড়ার দিকের ঘাটগুলির আশপাশে টহল দেবে কলকাতার জল পুলিশ। ১৮টি লাইফ সেভিং বোট থাকছে। বিসর্জন চলাকালীন মাইকিং করে সচেতন করা হবে।