পুরুলিয়া: বিজেপি ও সিপিএমের প্রতি আস্থা হারিয়েছে। পুরুলিয়া জেলার কাশীপুর ব্লক এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসে বড়সড় শক্তিবৃদ্ধি। বিজেপির মণ্ডল সহ-সভানেত্রী ও সিপিএমের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য সহ-প্রায় ৭০টি পরিবার যোগদান করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
আজ, রবিবার কাশীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক স্বপন বেলথরিয়া ও পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া।
জানা যায়, এদিন আগরডি-চিত্রা অঞ্চলের বিজেপির মণ্ডল সহ-সভানেত্রী ভারতী হাঁসদা-সহ ওই অঞ্চলের ৪০ টি পরিবার ও বেকো অঞ্চলের সিপিএমর জয়ী সদস্য ভূতনাথ চৌধুরী -সহ ওই অঞ্চলের ৩০টি পরিবার এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।
বিজেপি ও সিপিএমের প্রতি আস্থা হারিয়েই এদিন যোগদানকারীরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন বলে জানান। সিপিএমের নির্বাচিত সদস্য ভূতনাথ চৌধুরী বলেন, “আমি স্বেচ্ছায় তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করলাম। কারণ মানুষের উন্নয়ন করতে গেলে একমাত্র দল হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস”।
অন্যদিকে বিজেপি থেকে যোগদান করা ভারতী হাঁসদা বলেন, “বিজেপিতে ছিলাম ভুল করেছিলাম, আমাদের বিজেপির যিনি বিধায়ক রয়েছেন তিনি কোনো কাজ করেননি। আমাদের কোনো সহযোগিতা করেনি। তাই এলাকার উন্নয়ন করব ভেবেই আজকে যোগদান করলাম”।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “নির্বাচনের পর থেকেই কাতারে কাতারে মানুষ আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করছে। তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে। তাই তারা তৃণমূল কংগ্রেস তাদের নিজের দল ভেবেই যোগদান করছেন। আমরা এই যোগদানকে স্বাগত জানাই”।
রাজ্য তৃণমূল সম্পাদক স্বপন বেলথরিয়া বলেন, “মানুষ তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে তাই তারা তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করছে। আমাদের একটাই কথা মানুষের উন্নয়ন এলাকার উন্নয়ন যদি করতে হয় তবে একমাত্র দল হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এটা মানুষ বুঝেছি। তাই তারা তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করছে”।