প্রথম পাতা খবর লোকসভায় পেশ ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল, বিরোধীদের তীব্র বিরোধিতা

লোকসভায় পেশ ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল, বিরোধীদের তীব্র বিরোধিতা

248 views
A+A-
Reset

নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার নির্ধারিত সময় অনুযায়ী লোকসভায় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল পেশ করেন। বিলটি পেশ হওয়ার পরই বিরোধী সাংসদদের কড়া বিরোধিতার মুখে পড়ে। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যান্য বিরোধী নেতারা এই বিলকে সংবিধানের মূল কাঠামোর বিরুদ্ধে বলে অভিযোগ করেন।

কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি এই পদ্ধতিকে গণতন্ত্রের মূল ভাবনার পরিপন্থী বলে অভিহিত করেন। সমাজবাদী পার্টি সাংসদ ধর্মেন্দ্র যাদব প্রশ্ন তোলেন, “যারা আট রাজ্যে একসঙ্গে নির্বাচন করতে পারে না, তারা গোটা দেশে একযোগে নির্বাচন কী ভাবে করবে?”

তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও কড়া ভাষায় বলেন, “এই বিলের আসল উদ্দেশ্য এক ব্যক্তির স্বার্থরক্ষা। এটি গণতন্ত্র এবং মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র।” কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈও একই সুরে অভিযোগ তোলেন।

বিল পেশের আগেই তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নীতিকে “গণতন্ত্রের উপর আঘাত” বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “বাংলা চুপ করে বসে থাকবে না। এর বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।” তাঁর মতে, এই বিল গণতন্ত্রের বৈচিত্র্য নষ্ট করার চেষ্টা এবং সংবিধানের ভিত্তি দুর্বল করার ষড়যন্ত্র।

বিলটি নিয়ে বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে (জেপিসি) এটি পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিলের বিভিন্ন দিক নিয়ে আরও আলোচনার জন্য এটি কমিটিতে পাঠানো হবে।

বিরোধীরা মনে করছে, এই নীতি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আঘাত হানবে এবং রাজ্যের স্বাতন্ত্র্য নষ্ট করবে। এছাড়া, বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনের সময় বদলানোর যে প্রয়োজন হবে, তা সাংবিধানিক এবং পদ্ধতিগতভাবে জটিলতা তৈরি করবে।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.