পরীক্ষা ছাড়াই পুনর্বহালের দাবিতে অনড় রইলেন এসএসসি-র চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, সিবিআইয়ের উদ্ধার করা ওএমআর শিটের ভিত্তিতে ‘অযোগ্য’দের বাদ দিয়ে ‘যোগ্য’দের নিয়ে নতুন প্যানেল তৈরি করা হোক। তাঁদের অভিযোগ, আদালত সুবিচার দিতে ব্যর্থ। তাই এবার আন্দোলনের পরিসর বাংলা ছাড়িয়ে দিল্লিতেও পৌঁছাবে।
সোমবার শিক্ষাসচিব বিনোদ কুমারের সঙ্গে দুই ঘণ্টা ধরে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারী চাকরিহারাদের ৬ জন প্রতিনিধি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তারা জানান, নিজেদের দাবি ও প্রস্তাব পেশ করলেও বহু প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তাঁদের বক্তব্য, যেসব প্রশ্নের উত্তর সচিব দিতে পারেননি, তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষেই দেওয়া সম্ভব।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল। প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ, চলতি বছরের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ করতে হবে। তবে নতুন করে আর পরীক্ষা দিতে রাজি নন অনেক চাকরিচ্যুত প্রার্থী। তাঁদের যুক্তি, ওএমআর শিটের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই বহুবার যাচাই হয়েছে যোগ্যতা। তাই নতুন করে আর পরীক্ষা নয়, বরং যোগ্যদের নিয়েই রিভিউর মাধ্যমে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
আন্দোলনকারীরা জানান, সিবিআই যে ওএমআর শিট উদ্ধার করেছে, তাকে সুপ্রিম কোর্ট ও হাই কোর্ট দু’টি আদালতেই গ্রহণযোগ্যতা দেওয়া হয়েছে। সেই ওএমআরকে ভিত্তি করেই যেন নতুন প্যানেল গঠন হয়। পাশাপাশি, ৩১ মে-র মধ্যে যাতে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হয়, সে দাবিও জানানো হয়েছে। আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি এখনও জানানো হয়নি, তবে আন্দোলন যে জারি থাকবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন চাকরিচ্যুতরা।