বর্ষার জেরে আবারও জলমগ্ন ঘাটাল-সহ মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। বছরের পর বছর ধরে এমন জলযন্ত্রণা সয়ে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতির মোকাবিলায় বহু প্রতীক্ষিত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ কতদূর এগোল, কতদিনে শেষ হবে— তা নিয়ে বিধানসভায় বিবৃতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করার কথা ছিল কেন্দ্রের। তারা করেনি। আমরা নিজে সেই কাজ শুরু করেছি। ১৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে। দু’-তিন বছর সময় লাগবে পুরো কাজ শেষ হতে। মানসদা (মানস ভুঁইঞা) বার বার সংসদে কেলেঘাই-কপালেশ্বরী প্রকল্পের জন্য বলেছিলেন, তাও কিছু হয়নি। অবশেষে রাজ্য সরকারই সেই কাজ করেছে। ঘাটালের কাজও আমরাই করছি। কাজ শেষ হলে বর্ষায় আর মেদিনীপুরের মানুষকে জলে ডুবতে হবে না।”
কাজের গতি ধীর হওয়ার কারণ হিসেবে জমি সমস্যার কথা উঠেছে। সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, “যেখানে জমি সমস্যা হচ্ছে, সেখানে প্ল্যান ঘুরিয়ে দিন। তাহলেই সমস্যা মিটবে।”
সেই সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন জলপ্রকল্প নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সিকিমে ১৪টি জলপ্রকল্পের ফলে তিস্তার স্বাভাবিক গতিপথ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, “সিকিম থেকে বর্ষার জলে বাংলা ভাসছে। নেপাল থেকেও জল ঢুকছে।”
এছাড়াও, ভারত-ভুটান আন্তর্জাতিক জল কমিশনে বাংলার কোনও প্রতিনিধি না থাকার বিষয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন মমতা। তাঁর কথায়, “বাংলার প্রতিনিধি থাকা উচিত। কারণ জল বণ্টনে এর প্রভাব পড়ছে বাংলার উপরেও।”
সব মিলিয়ে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে নতুন করে আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, তবে বাস্তবে এই প্রকল্পের গতি কতটা বাড়ে, সেদিকে তাকিয়ে ঘাটালের বাসিন্দারা।