নবরাত্রির প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানান, সোমবার ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে জিএসটি ২.০ সংস্কার। একে আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে ‘জিএসটি সাশ্রয়ের উৎসব’। এই সংস্কারের ফলে সাধারণ মানুষের সঞ্চয় বাড়বে, পছন্দের জিনিস কেনা হবে আরও সহজ।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “নবরাত্রির প্রথম দিন থেকেই আত্মনির্ভর ভারতের পথে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশ। এই সংস্কার ভারতের প্রবৃদ্ধির গতি আরও বাড়াবে, ‘Ease of Doing Business’ সহজ করবে, নতুন বিনিয়োগ আনবে এবং প্রতিটি রাজ্যকে উন্নয়নের সমান অংশীদার করবে।”
অন্যদিকে, রবিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন দক্ষিণ কলকাতার একাধিক পুজোমণ্ডপ উদ্বোধনে ব্যস্ত। মোদীর ভাষণ শেষ হওয়ার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন ৯৫ পল্লীর পুজো মণ্ডপে। সেখান থেকেই ফের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মমতা।
তাঁর দাবি, বিমায় জিএসটি ছাড়ের জন্য প্রথম থেকেই কেন্দ্রকে চাপ দিচ্ছিল রাজ্য। মমতার কথায়, “আমি একটা কথাই বলি, এই যে ইন্সিওরেন্সের থেকে টাকা বা জিএসটি কমানো বা না থাকা, ফার্স্ট চিঠি আমি লিখি।”
তিনি আরও বলেন, “ক্রেডিট হচ্ছে রাজ্যের। আমাদের রেভিনিউ আর্নিং দিয়েই আমি লক্ষ্মীর ভান্ডার করি, বিনা পয়সায় রেশন দিই, কৃষক বন্ধু দিই, সাইকেল দিই, ট্যাব দিই। বিমায় প্রিমিয়াম বাড়ানো বন্ধ রাখতে আমাদের রাজ্যের রেভিনিউ লোকসান হচ্ছে ৯০০ কোটি টাকা। বাদবাকি নিয়ে প্রায় ২০ হাজার কোটি। এটা রাজ্যের জিএসটি, সেন্ট্রালের নয়।”
প্রধানমন্ত্রী যখন জিএসটি সংস্কারকে ‘সঞ্চয় উৎসব’ হিসেবে তুলে ধরছেন, তখন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত— সুবিধার কৃতিত্ব কেন্দ্র নিতে পারলেও তার প্রকৃত বোঝা বহন করছে রাজ্য সরকার।