অবশেষে শহরজুড়ে হালকা শীতের ছোঁয়া! সকাল-সন্ধ্যার হাওয়ায় এখন গায়ে লাগছে শিরশিরে ঠান্ডা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক জেলায় তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই নেমেছে ২০ ডিগ্রির নিচে।
তবে অনেকের মনে প্রশ্ন—“কবে আসবে জাঁকিয়ে শীত?” আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, এখনও তেমন উল্লেখযোগ্য ঠান্ডা নামার সম্ভাবনা নেই। আগামী সপ্তাহেও দক্ষিণবঙ্গে পারদের বিশেষ হেরফের হবে না বলেই পূর্বাভাস। বরং উপকূলীয় জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সরে গিয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি এখন উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ বাংলাদেশ সংলগ্ন উপকূলে অবস্থান করবে।
দক্ষিণ বাংলাদেশে বর্তমানে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত, যার প্রভাবে আজ দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলিতে সামান্য বৃষ্টিপাত হতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও কিছুটা বাড়বে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে—বিশেষত বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানে—রাতের দিকে পারদ নেমে গেছে ২০ ডিগ্রির নিচে। সকালের দিকে রীতিমতো শীতের আমেজ মিলছে। তবুও এখনই ‘জাঁকিয়ে শীত’ নামবে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
উত্তরবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে আগামী দু’দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে। আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক, আর সপ্তাহান্তে শীতের অনুভূতি আরও খানিকটা বাড়বে বলেই পূর্বাভাস।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ঘূর্ণাবর্তের জেরে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন মায়ানমার ও বাংলাদেশ উপকূলে সমুদ্র উত্তাল থাকার সম্ভাবনা। ফলে ওই অঞ্চলের মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
সব মিলিয়ে নভেম্বরের শুরুতেই বাংলায় শীতের আগমনী বার্তা স্পষ্ট—তবে আপাতত ‘হালকা ঠান্ডা’, জাঁকিয়ে নয়!