ডেস্ক: সরকারের মূল ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশনই এক জাতি, এক রেশন কার্ড স্কিম বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবে। ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র ৬বছর পূর্তিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা কালে গত দেড় বছর ধরে গোটা দেশের পড়ুয়ারা সকলেই প্রায় গৃহবন্দি। বিশেষ করে ছোটদের ক্লাস পুরোপুরি বন্ধ। ভরসা কেবল অনলাইন। এই পরিস্থিতিতে অনলাইনে যে শিশুরা পড়াশোনা করছে তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সেই সঙ্গে DIKSHA প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষাদান করা শিক্ষকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, বিভিন্ন ক্ষেত্রেই প্রযুক্তির সুবিধা পেয়ে সাধারণ মানুষ লাভবান হচ্ছে দেশজুড়ে। বৃহস্পতিবার ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ষষ্ঠ বর্ষ পূর্তিতে প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে আলোচনা বৈঠকে এমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন বলেন,কেন্দ্রের সরকারকে সরাসরি কোটি কোটি লোককে অর্থ পৌঁছে দিতে সহায়তা করেছে এই প্ৰকল্প। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, “ইউপিআই ব্যবহার করে দেশের মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৫ লক্ষ ডলার লেনদেন করেন”। “একটি দেশ, একটি রেশন কার্ড প্রকল্প যা এই ডিজিটাল মিশনের আওতায় সম্ভব হয়েছে তা বিশেষ করে পরিযায়ী ও অভিবাসী শ্রমিকদের সাহায্য করেছে।”
আরও পড়ুন: ফোর্ট উইলিয়ামের পাঁচিল ভেঙে ঢুকে গেল মিনিবাস, আহত ১৯
কেবল পড়ুয়ারাই নয়, কৃষকরাও অনলাইনের সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর। তিনি জানিয়েছেন, কৃষকরা বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে নিজেদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করছে। এদিনের বৈঠকে মধ্যপ্রদেশের ব্যবসায়ী নাজরিনের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। ওই ব্যবসায়ী জানান, কীভাবে তিনি তাঁর দোকানে ডিজিটাল পদ্ধতিতেও ক্রেতাদের থেকে অর্থ নেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে দেশের টিকাকরণের বিষয়টিও। তিনি জানান, যেভাবে কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে টিকাকরণের জন্য নাম নথিভুক্ত করা যাচ্ছে তা দেখে আগ্রহী হয়েছে আরও বহু দেশ। দেশ যে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে কতটা উন্নতি করেছে তা পরিষ্কার হয়ে যায় এই অ্যাপের ‘মনিটরিং টুল’ হয়ে ওঠা থেকেই।