প্রথম পাতা খবর রাজ্যপালের ছবিতে দেবাঞ্জনের দেহরক্ষী! ‘দেশের পক্ষে ভয়ঙ্কর’ ছবি প্রকাশ করে দাবি তৃণমূলের

রাজ্যপালের ছবিতে দেবাঞ্জনের দেহরক্ষী! ‘দেশের পক্ষে ভয়ঙ্কর’ ছবি প্রকাশ করে দাবি তৃণমূলের

67 views
A+A-
Reset

ডেস্ক: রাজভবন বনাম রাজ্য সরকারের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে গেল ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জনের বিতর্কও। তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে দলের জাতীয় মুখপাত্র সুখেন্দু শেখর রায় দু’টি ছবি দেখালেন। ওই ছবির একটিতে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে দেবাঞ্জন দেবের নিরাপত্তা রক্ষীকে।     ছবি দেখিয়ে তৃণমূল সাংসদ দাবি করেছেন, ভুয়ো টিকাকাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জনের দেহরক্ষীর রাজভবনে যাওয়া-আসা ছিল। দু’টি ছবি তিনি প্রকাশ্যে এনেছেন। যেখানে একটি ছবিতে দেবাঞ্জনের সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁর দেহরক্ষী অরবিন্দ বৈদ্য নামক ব্যক্তিকে। আবার সেই একই ব্যক্তিকে রাজপালের একটি পারিবারিক ছবিতে দেখা গিয়েছে।


সুখেন্দু শেখর রায় বলেন,’ভুয়ো টিকাকাণ্ডের প্রতারক দেবাঞ্জনের ঠিক পিছনে দাঁড়িয়ে রয়েছে তার নিরাপত্তা রক্ষী। তাঁর নাম অরবিন্দ বৈদ্য। সে-ও ভুয়ো কিনা বলতে পারব না।’ তার পর আর একটি ছবি দেখান তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। বলেন,’এটা চিনতে পারেন কিনা দেখুন তো। ওই নিরাপত্তারক্ষী কাদের পিছনে দাঁড়িয়ে আছে? মাননীয় রাজ্যপাল ও তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছেন দেবাঞ্জনের নিরাপত্তা রক্ষী।’ 


এদিন সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘রাজ্যপালের সঙ্গে প্রতারকের দেহরক্ষীর যোগ থাকলে তা দেশের পক্ষে ভয়ঙ্কর। ঘনিষ্ঠতার গুরুত্ব আপনারা বুঝতেই পারছেন।’ তাঁর কথায়,’জানতে পেরেছি এই নিরাপত্তারক্ষীর মাধ্যমে কোনও বিশেষ ব্যক্তির কাছে খাম ও উপহার পাঠাত দেবাঞ্জন। আমরা দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্তকারীদের গোচরে আনব। চাইব সমস্ত তথ্য প্রকাশ করা হোক। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন টিকাকাণ্ডে মানুষকে অসুবিধায় যারা ফেলেছেন তাদের কাউকে রেয়াত করা হবে না।

আরও পড়ুন: ডিজিটাল প্রযুক্তিতে এগোচ্ছে দেশ, ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র ৬ বছর পূর্তিতে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর


সুখেন্দুশেখর দাবি করেন, ‘জৈন হাওয়ালার ডায়েরিতে রয়েছে এক জগদীপ ধনকড়ের নাম। তিন চারটি ইনস্টলমেন্টে টাকা নিয়েছিলেন ডায়েরিতে নাম থাকা জগদীপ ধনকড়।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘এই জগদীপ ধনকড় কে?’ তিনি যোগ করেন, ‘এই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোথাও জমি কেলেঙ্কারি, জৈন হাওয়ালায় কেলেঙ্কারির অভিযোগ। এজেন্সির মাধ্যমে এই অভিযোগের তদন্ত করা উচিত।’
তৃণমূল সাংসদের দাবি, ‘অবিলম্বে এই রাজ্যপালকে বরখাস্ত করা উচিত।’ এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে বলেও জানান সুখেন্দুশেখর। বলেন, ‘তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ট্যুইটের পর চুপ কেন রাজ্যপাল ?’

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সম্পাদকের পছন্দ

টাটকা খবর

©2023 newsonly24. All rights reserved.