পঙ্কজ চট্টোপাধ্যায়
ঠিক এই মুহুর্তে সবচেয়ে দুষ্প্রাপ্য এবং দুর্মূল্য কি জিনিস বলুন তো? প্রশ্নটা খুব সাধারণ, আর উত্তরটাও জানা। কিন্তু এই প্রশ্নের মুখোমুখি হলেই আমরা কেমন থতিয়ে যাই।
আসলে আমাদের অভ্যাসে বেশ কিছু “এটা নয়”, “ওটা নয়” শুনে শুনে, আমরা ভাবনাচিন্তায় খুব সংকীর্ণতায় ভুগি। একটা কূপমন্ডুকতা আমাদের স্বভাবে চলে আসে। আমাদের মনের খোলা আকাশটা আমরা নানান বৈষম্যের কালো মেঘে মেঘাচ্ছন্ন করে ফেলি।
স্বামী বিবেকানন্দ বলছেন: ” তোদের ধর্মটর্ম আমি বুঝি না। সারা ভারতবর্ষ আর সারা বিশ্ব ঘুরে ঘুরে আমার হৃদয়টা অনেক অনেক বড়ো হয়ে গেছে,ভালোবাসায় সপ্ত মহাসিন্ধু সেখানে বয়ে চলেছে অনবরত। “
হ্যাঁ। ঠিকই,এই মুহুর্তে আমার আমাদের পারস্পরিক সম্প্রীতি আক্রান্ত, অপমানিত, পদদলিত। তাকে আবার সসম্মানে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে আমাদের নিত্যদিনের জীবনে, জীবনযাপনে।
একে অন্যের বিশ্বাসে, আচরনের প্রতি আমাদের সহিষ্ণুতা দেখাতে হবে। কারণ আমরা সভ্যতার শ্রেষ্ঠ জীব। আমাদের জীবন যাপনের পাথেয় হোক মানবতা, মহানুভবতা, সহিষ্ণুতা।
শুধুমাত্র বইয়ের পাতায় নয়, আমাদের মনেপ্রাণে বিশ্বাস রাখতে হবে, স্বামী বিবেকানন্দ, নবী হজরত মহম্মদ, তথাগত বুদ্ধ, যীশু, রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল ইসলামের পরম চিরন্তন বাণী।
রবীন্দ্রনাথের কথায় আবেদন রেখে যাই: “আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়া, বুকের মাঝে বিশ্বলোকের পাবি সাড়া”।
আমাদের সকল সহ সুনাগরিকদের কাছে আবেদন, সকলে ভালো থাকুন, সকলকে ভালো রাখুন। জাতপাত নয়,আসুন আমরা সবাই পাশাপাশি দাঁড়িয়ে বলি,আমরা মানুষ। সকলেই ঈশ্বর আল্লা গডের সন্তান। আমরা সকলে সকলের ভাইবেরাদর।
সবাই সচেতন থাকুন। সকলে ভালো থাকুন। অনুরোধ সহ এই আবেদন রেখে গেলাম।