‘সব খেলার সেরা… তুমি ফুটবল’, ফিফা বিশ্বকাপে জিতে যাক আপনার ফেভারিট টিম

পঙ্কজ চট্টোপাধ্যায়

প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়েছিল ১৮৭২ সালে ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের মধ্যে। তারপর থেকে সারা বিশ্বে, বিভিন্ন দেশে এই ফুটবল খেলার প্রচলন হতে শুরু হয়েছিল। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এই ফুটবল খেলার চল আছে। আমাদের দেশে ফুটবল খেলা শুরু করেন নগেন্দ্রনাথ সর্বাধিকারী। সে এক অন্য ইতিহাস।

আজ শুধু আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ে আলোচনা। কারণ, রবিবার থেকে শুরু হয়েছে “ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা “। ফিফা মানে Federation of International Football Association. ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল ১৯৩০ সালে। প্রতি চার বছর অন্তর এই প্রতিযোগিতা বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হয়। এ বারে ২০২২-এর ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এশিয়া মহাদেশের কাতার-এ।

১৯৩০ সাল থেকে প্রতি ৪ বছর অন্তরে ১৯৩৮ সাল অবধি এই প্রতিযোগিতা হয়েছিল। ১৯৪২ সালে এবং ১৯৪৬ সালে এই বিশ্বকাপ খেলা হয়নি,তার কারণ হল, ওই সময়ে সারা বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিল। তাই এই প্রতিযোগিতা তখন বন্ধ ছিল। ১৯৫০ সাল থেকে পুনরায় ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা যথা নিয়মে প্রতি চার বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে। আর মাত্র একটি প্রতিযোগিতা (২০২৬), তারপরই ২০৩০ সালে এই ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ সকার (FIFA world cup soccer) ১০০ বছরে পা দেবে। অলিম্পিকের পরেই শতবর্ষ প্রাচীন এই ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা।

যাইহোক, একটাই কষ্ট আমাদের দেশের যে, আজ অবধি আমাদের দেশ ভারতবর্ষ ফিফা বিশ্বকাপে খেলেনি, মানে খেলার মতো সেই যোগ্যতা আমাদের দেশ অর্জন করতে পারেনি।

কিন্তু বাঙালি তথা ভারতীয়দের তাতে কিছু যায় আসে না। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো আমরা পাড়ায় পাড়ায় ভাগ হয়ে যাই ব্রাজিল,আর্জেন্টিনা,ফ্রান্স,ইংল্যান্ড, জার্মান, স্পেন,ইটালি,প্রভৃতি দেশের খেলার সমর্থক হিসাবে। বিভিন্ন পাড়ায় পতাকা ওড়ে ব্রাজিলের, বা আরজেন্টিনার,বা জার্মানির,বা অন্যান্য পছন্দের দেশের।

ফুটবলপ্রেমী বাঙালি এই প্রতিযোগিতার ক’টা দিন কেউ ব্রাজিল, কেউ আর্জেন্টিনা,কেউ স্পেন,কেউ ফ্রান্স,কেউ ইটালি, কেউ জার্মান, কেউ ইংল্যান্ড বা ফেবারিট অন্য কোনো দেশের জন্য গলা ফাটাবে, একটানা ফেভারিট দলের খেলা দেখবে, দল জিতে গেলে আনন্দে আহ্লাদে আটখানা হবে, আর যদি না জিৎ হয় তা হলে, সে কি মন খারাপ, কি মন খারাপ।

প্রায় একমাস ব্যাপী এখন বাঙালি ফুটবলের ফিফা বিশ্বকাপের ভালোবাসায় ফিদা হয়ে যাবে, দিওয়ানা হয়ে যাবে। বিশেষ করে কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতীরা। মাঝ বয়সী থেকে অন্যান্য বয়সীরাও থাকবেন সেই দলে, এতো বলাই বাহুল্য।

মান্নাদের সেই বিখ্যাত গানটির কথায় বলা যায়…”সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল, কি মধু আছে যে তোমার নামেতে বাবা ফুটবল… “,

যাক সবাই খেলা দেখুন,ঝড় তুলুন চায়ের কাপে,আলোচনায়। জয়ী হোক ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবলের হাত ধরে বিশ্ব সম্প্রীতি। সকলে ভালো থাকুন, খেলা দেখুন,আনন্দ করুন, জিতে যাক আপনার ফেভারিট টিম।

আরও পড়ুন: আজ শুরু ফুটবলের বিশ্বযুদ্ধ, জানুন বাড়িতে বসে কী ভাবে দেখবেন

Related posts

শরতের কাশফুল–শিউলি : মৌনমুখর আনন্দ-বিষণ্নতা

‘মহিষাসুরমর্দিনী’- কিছু অজানা কথা

‘ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত’, কিছু ঐতিহাসিক তথ্য