Deprecated: Creation of dynamic property Penci_AMP_Post_Template::$ID is deprecated in /home/ndn4dljdt13e/public_html/newsonly24.com/wp-content/plugins/penci-soledad-amp/includes/class-amp-post-template.php on line 46

Deprecated: Creation of dynamic property Penci_AMP_Post_Template::$post is deprecated in /home/ndn4dljdt13e/public_html/newsonly24.com/wp-content/plugins/penci-soledad-amp/includes/class-amp-post-template.php on line 47
এশিয়া উপমহাদেশের মানব সভ্যতায় এক প্রাচীন উৎসব "রাখীবন্ধন" - NewsOnly24

এশিয়া উপমহাদেশের মানব সভ্যতায় এক প্রাচীন উৎসব “রাখীবন্ধন”

পঙ্কজ চট্টোপাধ্যায়

হাজার হাজার বছর আগে থেকেই সারা এশিয়ায়, আফ্রিকায় মানব সভ্যতার উন্মেষ ঘটেছিল। মানুষের জীবন প্রবাহ নানান বিবর্তনের মধ্য দিয়ে উন্নত থেকে উন্নততর হয়েছিল মানুষের কায়িক এবং মানসিক শ্রমের বিবর্তনের ধারাবাহিকতায়।
কৃষি,ঘর বানানো,আগুন আবিষ্কার,চাকা আবিষ্কার ,প্রকৃতির হাত থেকে,পারিপার্শ্বিক অবস্থার মুখোমুখি হয়ে মানুষ নিজেকে জীবন ধারন করার,প্রতিপালন করার, মনের চাহিদা মেটানোর জন্য নানান পালা পার্বন অনুষ্ঠিত করার বিভিন্ন রীতিনীতি তার সংস্কৃতিতে অঙ্গীভূত করে।

তেমনি এক পার্বন হোল “রাখীবন্ধন”। প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই রাখীবন্ধন তথা রক্ষাবন্ধন উৎসব পালিত হয়ে আসছে সেই প্রাচীন কাল থেকে।

এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে হিন্দু,বৌদ্ধ, জৈন,শিখ,প্রভৃতি ধর্মাবলম্বীদের সমাজে।

আমাদের ভারতবর্ষে তো বটেই,তার পাশাপাশি নেপাল,ভুটান,বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান,মালয়েশিয়া, মায়ানমার, চীন,তিব্বত,জাপান,কোরিয়া,প্রভৃতি দেশেও এই রাখী বন্ধন উৎসব পালিত হয়। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে এক আনন্দধারা বয়ে চলে আসছে স্রোতস্বিনীর মতো।এই সংস্কৃতির মধ্যেই মানুষের সভ্যতায় ” ভাই-বোন”-এর যে আন্তরিক পবিত্র সম্পর্কের বন্ধন,সেই শ্রদ্ধা,স্নেহ-ভালোবসার বন্ধন সুদৃঢ় হোয়ে ওঠে। যেহেতু এই উৎসব অতি প্রাচীন কালের, তাই এই উৎসবের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু পৌরানিক,ঐতিহাসিক এবং সামাজিক কাহিনী বা ইতিহাস নিহিত আছে,যা আমাদের জানা দরকার। যেমন—

★শ্রীকৃষ্ণ এবং দ্রৌপদী–

প্রাচীন মহাকাব্য মহাভারত থেকে এই কাহিনী পাওয়া যায়।কাহিনীটি হোল,যে কোনো এক কারণে একবার যুগাবতার শ্রীকৃষ্ণ-এর ডানহাতের মণিবন্ধ(কবজি) কেটে রক্তাক্ত হয়ে ওঠে।সেই অবস্থায় জরুরী প্রয়োজনে শ্রীকৃষ্ণ পান্ডবদের কাছে আসেন,সেখানে পঞ্চপাণ্ডব,মাতা কুন্তি এবং দ্রৌপদী সকলেই উপস্থিত ছিলেন।দ্রৌপদী তৎক্ষনাৎ শ্রীকৃষ্ণ-এর রক্তাক্ত ডানহাতের মণিবন্ধে নিজের পোশাকের প্রান্ত ছিঁড়ে বেঁধে দিয়েছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ অভিভূত হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি স্বয়ং পরমেশ্বর,তিনি সবই আগে থেকেই জানতেন,বুঝতেন,তাই তিনি খুবই বিমোহিত হয়ে দ্রৌপদীকে বলেছিলেন,”শোনো,পাঞ্চালী, আজ থেকে তোমার নাম দিলাম “কৃষ্ণা”, তুমি আমার হৃদয়এ সবসময়ে বিরাজিতা হয়েই থাকবে।তুমি স্মরণ করলেই আমি আসব তোমার কাছে।” সেই কথা শুনে দ্রৌপদী আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন সেদিন। তাই মহাভারতের পরবর্তীতে পাওয়া যায়,যে, যখন কৌরবদের রাজসভাতে দ্রৌপদীকে অপমানিত করা হচ্ছে, তার বস্ত্রহরণ করা হচ্ছে,তখন নিজের নারীসম্মান রক্ষার জন্যে দ্রৌপদী স্মরণ করেছিলেন সখা শ্রীকৃষ্ণকে।তৎক্ষনাৎ শ্রীকৃষ্ণ অন্তরাল থেকে তাঁর প্রাণপ্রিয় সখী কৃষ্ণার নারীসম্মান রক্ষা করেছিলেন সেদিন। যদিও সেখানে পঞ্চপাণ্ডব উপস্থিত ছিল স্থবীর হোয়ে,উপস্থিত ছিল ভীষ্ম সহ অনেক বয়স্যগণ। তবু তারা নীরবে নারীর অপমান দেখেছিলেন।প্রতিবাদ করেছিল একমাত্র কৌরব বিকর্,যিনি ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ -এর অনুগত রূপে। সেই থেকেই নারীর সম্মান রক্ষার পবিত্র দায় এবং দায়িত্ব পুরুষের, এই মূল্যবান মুল্যবোধের জন্ম হয় মানবসমাজের রীতিনীতিতে।
যা আজও প্রবহমান।

★বলীরাজা এবং মহালক্ষী–

কঠিন তপস্যাবলে তুষ্ট করে বলীরাজা বৈকুণ্ঠধাম থেকে ভগবান শ্রীবিষ্ণু কে নিয়ে এসেছিলেন বলীরাজার রাজ্যে ভগবানকে নিজের কাছে রাখার জন্য। শ্রীবিষ্ণু যেহেতু তার ভক্তকে কথা দিয়েছিলেন,তাই তিনি বলীরাজার রাজত্বে এসে থাকতে শুরু করেন।ওদিকে বৈকুণ্ঠধামে মহালক্ষী একাকিনী হয়ে যান। দীর্ঘদিন ধরে শ্রীবিষ্ণুকে দেখতে না পেয়ে তিনিও উতলা হয়ে ওঠেন,এবং পরিশেষে ছদ্মবেশ ধারণ করে মহালক্ষী বলীরাজার কাছে আসেন।তিনি বলীরাজাকে নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন যে তাঁর স্বামী নিরুদ্দেশ হয়ে গেছেন,তাই তিনি অসহায়,এবং তিনি বলীরাজার রাজ্যে সসম্মানে বসবাস করতে চান।সব শুনে বলীরাজা অত্যন্ত সহানুভূতিতে মহালক্ষী দেবীকে তার রাজপ্রাসাদেই সসম্মানে থাকতে অনুরোধ করেন,এবং দায়িত্ব নেন ছদ্মবেশী মহালক্ষী দেবীর নিরুদ্দিষ্ট স্বামীর সন্ধান করে দেবেন। যাইহোক এর কিছুদিন পরে শ্রাবণী পূর্ণিমার দিনে ছদ্মবেশী মহালক্ষী দেবী তাঁর বস্ত্রের একটুকরো খন্ড বলীরাজার ডানহাতের মণিবন্ধতে বেঁধে দিয়ে নিজের আসল পরিচয় প্রকাশ করেন।বলীরাজা আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন। আর তারপর তিনি শ্রীবিষ্ণুকে রেহাই দিয়ে, প্রণাম করে,মহালক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে বৈকুণ্ঠধামে দিয়ে আসেন।
এই কাহিনির সত্যসত্য আমাদের বিচার না করেই বলা যায় যে এই ঘটনা ইতিহাসে আর্য এবং অনার্য দের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিস্থাপনের এক অনন্যসাধারণ উপমা। যা আমাদের মনে এক মহত্বের জন্ম দেয়,আমাদের সুস্থ মানসিকতাকে লালিত করে।

★সন্তোষী মাতার ইতিবৃত্ত–

সিদ্ধিদাতা গণেশের দুই পুত্র।একজনের নাম “শুভ”,আরেকজনের নাম “লাভ”। গনেশের এই দুই সন্তান দীর্ঘদিন ধরে বাবা গণেশের কাছে আবদার করে আসছিল,যে তাদের কোনো বোন নেই,একটি বোন তাদের জন্য যেন গণেশ বাবা হিসাবে নিয়ে আসেন।অগত্যা শ্রী গণেশ দিব্য অগ্নি থেকে জন্ম দেন একটি কন্যাকে,নাম রাখা হয় “সন্তোষী”– যিনি হলেন সিদ্ধিদাতা গণেশের দুই পুত্র শুভ এবং লাভ-এর বোন “সন্তোষী”–যিনি সন্তোষী মাতা নামেও পুজিতা হন।
এই সন্তোষী মাতা তাঁর পুজা গ্রহন করার আগে তাঁর দুই অগ্রজ ভাই শুভ এবং লাভ -এর হাতে রাখী বেঁধে দেন।

এগুলি সবই পৌরাণিক কথা ও কাহিনি।এরপরে আমরা কয়েকটি ঐতিহাসিক ঘটনার কথা ও কাহিনীতে এই রাখীবন্ধনের প্রাগৈতিহাসিক বিষয় দেখতে পাই। যেমন, —

★গ্রীক সম্রাট আলেকজান্ডার-এর স্ত্রী সম্রাজ্ঞী অলিভিয়েস্তা রোজানা এবং রাজা পুরু–

৩২৬ খ্রীষ্টপূর্বতে গ্রীক সম্রাট আলেকজান্ডার ভারত আক্রমণ করেছিলেন। এক সময়ে রাজা পুরুর সঙ্গে যুদ্ধে আলেকজান্ডার প্রায় পরাজিত হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। সেই সময়ে আলেকজান্ডার-এর রাজমহিষী অলিভিয়েস্তা রোজানা ঝিলম নদীর তীরে কাটোচের রাজা পুরু-র হাতে রাখী পড়িয়ে রাজা পুরু-কে অনুরোধ করেছিলেন যে রাজা পুরু যেন আলেকজান্ডার-এর কোনও ক্ষতি না করেন,আলেকজান্ডার-কে কোনও আঘাত না করেন। পুরু তখন রোজানাকে সসম্মানে অভিবাদন জানিয়ে কথা দিয়েছিলেন যে তিনি রোজানার জন্যেই আলেকজান্ডার-এর কোনও ক্ষতি করবেন না। এরপর রাজা পুরু আত্মসমর্পন করেন এবং আলেকজান্ডার-এর সৈন্যরা পুরু-কে বন্দী করে সম্রাটের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। সেই সময়ে দরবারে রোজানা উপস্থিত ছিলেন,এবং রোজানাই আলেকজান্ডার-কে বলেছিলেন যে মহামতি রাজা পুরু-কে রাজার মতো শ্রদ্ধা এবং সম্মান দেখানোর জন্য। রোজানা এবং আলেকজান্ডার দুজনে মসনদ থেকে নেমে এসে রাজা পুরু-কে সমাদর করে অতিথি রাজার আসনে বসিয়েছিলেন। এ এক অনন্যসাধারণ কাহিনি। যা আমাদের মনকে এক৷ বিশ্বমানবতার উদারতায় উন্নীত করে,এক মহত্বে মহীয়ান করে তোলে। এই ইতিহাস
রাখীবন্ধন,রক্ষাবন্ধনের এক অনির্বচনীয় কাহিনী।

★রাণী কর্ণবতী এবং সম্রাট হুমায়ুন–

১৫৩৫ সালে গুজরাটের শাসক সুলতান বাহাদুর শাহ রাজস্থানের চিতোর আক্রমণ করেছিলেন।তখন চিতোরের মহারানা মারা গেছেন,সিংহাসনে রয়েছেন মহারানার-বিধবা স্ত্রী মহারানী কর্ণবতী। সম্ভাব্য বিপদের কথা ভেবেই রানী কর্ণবতী সাহায্য চেয়ে পাঠিয়েছেলেন দিল্লীতে তৎকালীন সম্রাট হুমায়ুনের কাছে। তখনকার রীতি অনুযায়ী মহারানী কর্ণবতী সম্রাট হুমায়ুনের কাছে রাখীবন্ধন-এর সমস্ত রাজকীয় সম্ভার পাঠিয়ে ছিলেন। সেখানে চিঠিতে রানী সম্রাটকে ভাই সম্বোধন করে রানীর সম্মান এবং চিতোরের সম্মান রক্ষা করতে অনুরোধ করেছিলেন। সেই অনুরোধ পেয়েই সংগে সংগই হুমায়ুন চিতোরের দিকে রওনা দিয়ে ছিলেন। কিন্তু পথিমধ্যে কিছু প্রতিবন্ধকতার জন্যে সম্রাট হুমায়ুন দেরিতে চিতোরে পৌঁছেছিলেন।আর ততক্ষণে সুলতান বাহাদুর শাহ চিতোর দুর্গ দখল করে নিয়েছিল। রানী কর্ণবতী নিজের আত্মসম্মান এবং সম্ভ্রম রক্ষা করার জন্যে ১৫৩৫ সালেরই ৮ই মার্চ চিতোরের ১৩ হাজার পুরনারীকে সাথে নিয়ে জহরব্রত পালন করে জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। চিতোরে পৌঁছে সম্রাট হুমায়ুন প্রথমে এই ঘটনা শুনে কেঁদে ফেলেছিলেন, হাহুতাশ করেছিলেন দেরিতে পৌঁছনোর জন্য,হতাশ হয়ে গিয়েছিলেন ভগ্নীসমা রানী কর্ণবতীকে বাঁচাতে না পারার জন্য। তারপর তিনি সুলতান বাহাদুর শাহকে চিতোর থেকে তাড়িয়ে দেন এবং বন্দী করে তার সাজা মৃত্যুদন্ড দেন। আর রানীর পুত্র বিক্রমজিৎ সিংহ কে মহারানা পদে অধিষ্ঠিত করে দিয়েছিলেন। এই কাহিনীকে আমরা আমাদের ভারতবর্ষের হিন্দু মুসলমানের পারস্পরিক এক মহান পরম্পরা হিসাবে আজও স্মরণ করি।

★রবীন্দ্রনাথ এবং রাখীবন্ধন–

১৯০৫ সালে “বঙ্গভঙ্গ” প্রস্তাবের বিরুদ্ধে এবং তার প্রতিরোধের জন্য রবীন্দ্রনাথ রাখীবন্ধন উৎসবের আয়োজন করেছিলেন। সেই সময়ের অবিভক্ত বাংলার কলকাতা সহ পশ্চিম দিকের সকল জেলা থেকে এবং পূর্ব বাংলার সমস্ত জেলা থেকে হাজার হাজার হিন্দু ও মুসলমান ভাই বোনদের আহ্বান জানিয়েছিলেন বঙ্গভঙ্গ রদে ও সম্প্রীতির উদ্দেশ্যে রাখীবন্ধন উৎসব পালনের জন্য।

সে এক বিরাট গণ আন্দোলন হয়েছিল সারা বাংলা জুড়ে। যার ফলে,১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ এই মহান কাজে পাশে পেয়েছিলেন কলকাতার নাখোদা মসজিদের সেই সময়ের ইমাম সাহেবকে।

রবীন্দ্রনাথ সেদিন কলকাতার রাজপথে নেমেছিলেন, জোড়াসাঁকো থেকে পায়ে হেঁটে গিয়ে জাকারিয়া স্ট্রটের নাখোদা মসজিদের ইমাম-কে হাতে রাখী পরিয়ে ছিলেন।আহ্বান করেছিলেন বাঙলা ও বাঙালির মানচিত্রকে অখন্ড রাখতে,হিন্দু মুসলমানকে এক হোতে। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি অটুট রাখতে।

তিনি এই উপলক্ষে লিখেছিলেন গান–” বাংলার মাটি,বাংলার জল,/বাংলার বায়ু বাংলার ফল/ পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান।…বাঙালির প্রাণ,বাঙালির মন,/বাঙালির ঘরে যত ভাইবোন-/এক হউক, এক হউক,এক হউক হে ভগবান।।”

তিনি লিখেছেন এই রাখীবন্ধন -এর জন্যে —
“জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ, / ধন্য হোল ধন্য হোল মানব জীবন।।”

রবীন্দ্রনাথ আরও লিখলেন–
“প্রভু, আজি তোমার দক্ষিণ হাত রেখোনা ঢাকি।/ এসেছি তোমারে, হে নাথ, পরাতে রাখী।।/যদি বাঁধি তোমার হাতে/পড়ব বাঁধা সবার সাথে, / যেখানে যে আছে কেহই রবে না বাকি।।/ আজি যেন ভেদ নাহি রয় আপনা পরে,/তোমায় যেন এক দেখি হে বাহিরে ঘরে।// তোমা-সাথে যে বিচ্ছেদে/ ঘুরে বেড়াই কেঁদে কেঁদে/ ক্ষণেক-তরে ঘুচাতে তাই তোমারে ডাকি।।”

তাই রাখীবন্ধন বা রক্ষাবন্ধন শুধুমাত্র একটি অনুষ্ঠান বা উৎসব নয়।রাখীবন্ধন বা রক্ষাবন্ধন আমাদের নিত্যদিনের ব্যস্ততায় যে আত্ম-স্বার্থ কালিমা আমাদের মনকে,ভাবনা চিন্তাকে কলুষিত করে তোলে,সেই ক্ষুদ্রতাকে,সেই নীচতাকে,সেই কূপমন্ডুকতাকে,সেই সংকীর্ণতাকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দেয় এই উৎসব। আমাদের মনকে,ভাবনা চিন্তাকে পবিত্রতায় আলোকিত করে তোলে এই রাখীবন্ধন বা রক্ষাবন্ধন উৎসব।

Related posts

আমাদের না হারানো ‘মানিক’ আমাদেরই ‘প্রবোধ’

অমরত্ব রয়ে গেল আপনার জন্য, ধর্মেন্দ্র সাহাব, সাত দশকের উজ্জ্বল নক্ষত্রের পতন

অলিখিত ইতিহাসের নীরব অধ্যায়ের একটি পৃষ্ঠা