“আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে”

পঙ্কজ চট্টোপাধ্যায়
“নীল দিগন্তে ঐ ফুলের আগুন লাগলো, নীল দিগন্তে…”
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ আহ্বান জানালেন..”দিয়ে গেনু বসন্তের এই গানখানি..” বসন্তের আকাশে বাতাসেমাটিতে,মাটির ঘরে ঘরে আবীরের পরশে পরশে “আজি সবার রঙে রঙ মেশাতে হবে”।
ফাগুনের প্রথম আলোয় ধরনীর লীলাখেলায় মাতন লাগে উৎসবের সেই উৎসবের নাম দোল যা আমাদের জীবনের এক অপরিহার্য অঙ্গ।
এই দোলের আর এক নাম হোলি।কথিত আছে,পুরাণে, রাজা হিরণ্যকশিপু ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর ঘোরতর বিরোধী। কিন্তু তার পুত্র প্রহ্লাদ ছিলেন পরম বিষ্ণু ভক্ত।সেই শিশু প্রহ্লাদকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চক্রান্ত করে হিরণ্যকশিপু এবং তার বোন হোলিকা। শিশু বিষ্ণু-ভক্ত প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে হোলিকা এই বসন্ত কালের পূণিমার আগের দিন আগুনে প্রবেশ করে।জ্বলতে থাকে আগুন,সারাদিন-রাত আগুন জ্বলার পরে হোলিকার শরীর পুড়ে যায়, কিন্তু ভক্ত শিশু প্রহ্লাদকে স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু নিজে কোলে করে রক্ষা করেন। হোলিকার শরীরের সমস্ত রক্তরস সেই আগুনের স্তুপ থেকে তরল হয়ে বেরিয়ে আসতে থাকে চারিদিকে। সেই থেকেই এই দিনকে হোলি বলা হয়। সারা ভারতে দোল বা হোলি খেলা হয়।
এছাড়া সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও এই রঙের উৎসব পালন করা হয়, বিভিন্ন নামে।
নানা বয়সের মানুষ আবীরের আর রঙের এই খেলাতে মেতে ওঠে। পারস্পরিক সম্প্রীতির এক মহোৎসবের নামই হোল বসন্তের এই দোল বা হোলি।
আজ এই দিনে সকলে আবীর আর রঙের আনন্দধারায় নিজেদের রাঙিয়ে তুলুন,রইল এই প্রার্থনা। আর এই রঙের উৎসবের নামে যেন কখনোই অন্য কারোর কোন ক্ষতি বা অসম্মান না করা হয়,সেদিকে আমাদের সজাগ,সতর্ক থাকতে হবে।

Related posts

‘মহিষাসুরমর্দিনী’- কিছু অজানা কথা

‘ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত’, কিছু ঐতিহাসিক তথ্য

তিনিই ছিলেন একমাত্র “ঐক্যপুরুষ”