প্রয়াত মনোজ মিত্র, সংস্কৃতি জগতে শোকের ছায়া


কলকাতা: বাংলা থিয়েটারের প্রখ্যাত নাট্যকার এবং অভিনেতা মনোজ মিত্র প্রয়াত হলেন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে কলকাতার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। বেশ কয়েক বছর ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবরটি তাঁর ভাই এবং সাহিত্যিক অমর মিত্র সংবাদমাধ্যমকে জানান।

১৯৩৮ সালের ২২ ডিসেম্বর অবিভক্ত বাংলাদেশের খুলনার সাতক্ষীরা মহকুমার ধুলিহর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মনোজ মিত্র। তাঁর বাবা অশোককুমার মিত্র ছিলেন গ্রামের প্রথম বি.এ পাশ করা ব্যক্তি। স্বাধীনতার পর মিত্র পরিবার কলকাতায় চলে আসে, এবং মনোজ মিত্র পড়াশোনা করেন স্কটিশচার্চ কলেজে। কলেজ জীবনে থিয়েটারের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ তৈরি হয়, যদিও বাবার প্রবল আপত্তি ছিল।

পরে থিয়েটার এবং অধ্যাপনা উভয়ক্ষেত্রেই নিজের দক্ষতা ও প্রতিভার পরিচয় দেন মনোজ মিত্র। তাঁর প্রতিষ্ঠিত নাট্যদল ‘ঋতায়ন’-এর মাধ্যমে একাধিক নাটক মঞ্চস্থ করেন তিনি। তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটকগুলির মধ্যে রয়েছে ‘অবসন্ন প্রজাপতি’, ‘নীলা’, ‘মৃত্যুর চোখে জল’, ‘সিংহদ্বার’, এবং ‘ফেরা’। এইসব নাটক বাংলা থিয়েটারকে সমৃদ্ধ করেছে। পাশাপাশি বাংলা চলচ্চিত্র জগতেও অভিনয়ে অবদান রেখেছেন তিনি। তাঁর অভিনীত ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ এবং ‘শত্রু’র মতো অনেক ছবিই অত্যন্ত জনপ্রিয়।

দীর্ঘদিন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য বিভাগে অধ্যাপক হিসেবেও যুক্ত ছিলেন মনোজ মিত্র। ২০০৩ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

প্রখ্যাত এই নাট্যকার এবং অভিনেতার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে বাংলা থিয়েটার এবং চলচ্চিত্র জগৎ। অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে শুরু করে বহু গুণমুগ্ধ সামাজিক মাধ্যমে প্রয়াত মনোজ মিত্রকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।মনোজ মিত্রের প্রয়াণে বাংলা থিয়েটার এবং চলচ্চিত্রে এক অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি হল।

Related posts

৩৩ বছরের অভিনয়জীবনে প্রথম জাতীয় পুরস্কার শাহরুখ খানের, তবে ভাগও দিতে হবে অন্য একজনকে

সুপারস্টার দেবের ২০ বছরের ফিল্মি সফর, শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

ভারতীয় সিনেমার সর্বোচ্চ সম্মান দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন মোহনলাল