প্রথম পাতা বিনোদন চলচ্চিত্রে সোনালি যুগের অবসান! বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত’র প্রয়াণে বিশিষ্ট জনদের শোকবার্তা

চলচ্চিত্রে সোনালি যুগের অবসান! বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত’র প্রয়াণে বিশিষ্ট জনদের শোকবার্তা

300 views
A+A-
Reset

ডেস্ক: চলচ্চিত্রে সোনালি যুগের অবসান! চির ঘুমে পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। বৃহস্পতিবার সকাল ছ’টা নাগাদ ঘুমের মধ্যেই দক্ষিণ কলকাতায় নিজের বাসভবনে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৭৭।

বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র জগতে। বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন অপর্ণা সেন। তিনি বলেছেন, বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর সিনেমা ছিল কবিতার মতো। বুদ্ধদেবের দাশগুপ্তের প্রয়াণে পরিচালক তরুণ মজুমদার বলেন, ‘খুবই বড় ক্ষতি। আমি হতবাক।’  
পরিচালক গৌতম ঘোষ বলেন, ‘বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল। ভাবতে পারছি না। ওঁর আর আমার একসঙ্গে শুরু। আমাকে জোর করে অভিনয় করিয়েছিল। অনেক স্মৃতি ওঁর সঙ্গে। সবটাই সুখস্মৃতি হয়ে থাকবে। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’ 


পরিচালক অনীক দত্ত বলেন, ”শেষ কথা হয়েছিল আমার শেষ ছবির সময়। দেখা হয়েছিল বহুদিন আগে। শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন। উনিই একজন যিনি আশ্চর্য প্রদীপ দেখে বলেছিলেন, আগের ছবির থেকে এটা ভাল হয়েছে। কলেজ জীবনে যাঁদের কাজ আমাকে অনুপ্রাণিত করত, তাঁদের মধ্যে বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত অন্যতম। অত্যন্ত বড় মাপের মানুষ।’


সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ”আমার গল্প ‘দূরত্ব’ দিয়েই ওঁর চলচ্চিত্র অভিযান শুরু হয়। ওঁকে আমি কবি হিসেবেই চিনতাম। খুব ভাল কবিতা লিখত। খুব শক্তিমান কবি ছিল। আমি খুবই স্নেহ করতাম। কয়েক বছর আগে দেখা হয়েছিল। শরীর ভাল ছিল না।”


অভিনেতা দীপঙ্কর দে বলেন, “কিছু বলার নেই। আমি খুবই মর্মাহত। তাহাদের কথা বলে একটা ছবিতেই কাজ করেছিলাম। মিঠুন আর আমি। খুব পরিশ্রম করে, যত্ন নিয়ে প্রত্যেকটি শট নিতেন। ভোর ৪টেয় উঠতেন। অসম্ভব পরিশ্রম করতে পারতেন। তাঁর সমস্ত কাজে একটা কাব্যগুণ ছিল। নিজে ভাল কবিতা লিখতে পারতেন তো! অনান্য পরিচালকদের থেকে অনেক উপরে…”

আরও পড়ুন : প্রয়াত পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রীর


অভিনেতা কৌশিক সেন বলেন, “তাহাদের কথা ছবিটার কথা মনে পড়ছে। তাঁর অনেক ছবির কথা বলা যায়। খুব বড় মাপের কবি ছিলেন। ওঁ আমাদের থিয়েটর দেখতে এসেছিলেন একাধিকবার। খুব মনে পড়ছে সেসব কথা। নিজের মনে যে বিষয়টা আসত, তার ভিত্তিতেই ছবি বানাতেন। কোনও কিছুর সঙ্গে আপোস করেননি। তার জন্য অনেক কম কাজ করেছেন শেষের দিকে”


১৯৭৮-এ প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি দূরত্ব পরিচালনা করে জাতীয় পুরস্কারের শিরোপা পেয়েছিলেন তিনি। এরপর নিম অন্নপূর্ণা, গৃহযুদ্ধ, বাঘ বাহাদুর, তাহাদের কথা, চরাচর, মন্দ মেয়ের উপাখ্যান-সহ একের পর এক উল্লেখযোগ্য ছবি। পুরস্কারের ঝুলিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি জাতীয় পুরস্কার। এছাড়াও চলচ্চিত্র পরিচালনায় বিদেশি পুরস্কারও পেয়েছেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। 

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.