কলকাতা: প্রয়াত পরিচালক সাহিত্যিক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক, সত্যজিৎ রায়-এই ত্রয়ী বাংলা ছবিতে যে সাংস্কৃতিক রেনেসাঁ এনেছিলেন তার যোগ্য উত্তরাধিকারী ছিলেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। পরিচালকের মৃত্যুতে বিনোদন জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিশিষ্ট পরিচালকের প্রয়াণে শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়াত পরিচালকের পরিবারের সদস্য ও শুভানুধ্যায়ীদের সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের প্রয়াণের বাংলার চলচ্চিত্র জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল বলেও শোকবার্তায় লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তাঁর পরিচালিত উল্লেখযোগ্য ছবি তাহাদের কথা, বাঘ বাহাদুর, উত্তরা, চরাচর, মন্দ মেয়ের উপাখ্যান, কালপুরুষ ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: প্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত
বাংলা সিনেমা এবং বাংলা কবিতা দুই জগতেই অবাধ বিচরণ ছিল বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর। ১৯৬৮ সালে ১০ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র ‘The Continent of Love’ দিয়ে নিজের চলচ্চিত্র কেরিয়ার শুরু করেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। তাঁর পরিচালিত ৫টি ছবি-বাঘ বাহাদুর, চরাচর, লাল দরজা, মন্দ মেয়ের উপাখ্যান, কালপুরুষ জাতীয় পুরস্কার পায়।
পরিচালক হিসেবেও তিনি নিজেও দু’বার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। দেশের বাইরে বিদেশেও একাধিক সম্মান পেয়েছেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব, বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রশংসা পেয়েছে তাঁর ছবি। পরিচালকের পাশাপাশি একাধারে কবিও ছিলেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। কফিন কিংবা সুটকেস, হিমযোগ, রোবটের গান, শ্রেষ্ঠ কবিতা ইত্যাদি বহু কবিতা লিখেছেন তিনি।
১৯৪৪ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়ার আনাড়ার জন্মগ্রহণ করেছিলেন বুদ্ধদেববাবু। তাঁর বাবা রেলে চাকরি করতেন। ১২ বছরে হাওড়ার স্কুলজীবন শুরু করেন। তারপর অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন স্কটিশ চার্চ কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবেই কর্মজীবন শুরু করেছিলেন।