স্যালাইন-বিতর্কে চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়ে কড়া অবস্থান নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে তিনি জানান, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকরা দায়িত্বশীল হলে প্রসূতি ও সদ্যোজাতের মৃত্যু এড়ানো যেত। এই ঘটনায় ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সন্তান প্রসবের পর একাধিক প্রসূতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অভিযোগ, স্যালাইনের গুণগত মান খারাপ থাকায় এই বিপর্যয় ঘটে। এর জেরে এক প্রসূতি ও এক নবজাতকের মৃত্যু হয়। মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। তার পরেও চিকিৎসকদের গাফিলতির কারণে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।”
তিনি আরও বলেন, “রাজ্যে ৪২টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে, বেডের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৭ হাজার। ৭১টি এসএনসিইউ এবং ১৪ হাজার নতুন চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে। এত উন্নয়নের পরও যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ঘটনার দায়ী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কড়া প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হবে। পাশাপাশি, স্যালাইনের মান যাচাইয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে এই কমিটি দ্রুত রিপোর্ট দেবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে অপারেশন থিয়েটারে সিসিটিভি থাকা উচিত। এতে কোনও গাফিলতি থাকলে তা খুঁজে বের করা সহজ হবে।”