এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আসল ওএমআর শিট না থাকার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যদি আসল ওএমআর শিট না থাকে, তাহলে কোন শিটকে সত্য বলে ধরা হবে?”
সোমবার এই মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আদালতে জানায়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, “সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি হয়েছে। হাই কোর্টের রায় যথার্থ, সেটিই বহাল থাকা উচিত।” সিবিআইয়ের দাবি, রাজ্যের এসএসসি-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ছিল না, তাই হাই কোর্টের দেওয়া চাকরি বাতিলের রায় সমর্থন করছে তদন্তকারী সংস্থা।
এদিকে, প্রধান বিচারপতি খন্না প্রশ্ন তোলেন, এসএসসি নাকি পঙ্কজ বনসলের সংস্থার কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত আসল তথ্য রয়েছে? তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর মতে, “আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় আদালত কী করতে পারে?”
এর আগে, কলকাতা হাই কোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ বাতিল করে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি খারিজ করেছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, যাঁরা অনৈতিকভাবে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বেতন সুদ-সহ ফেরত দিতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের আগের শুনানিতে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, “অনেকেই চাকরির আবেদন না করেও নিয়োগ পেয়েছেন। সে ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে।”
সুপ্রিম কোর্ট এখন নিয়োগ দুর্নীতির জট খুলতে কী পদক্ষেপ নেয়, সে দিকেই নজর সকলের।