উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ থেকে গুপ্তকাশী যাওয়ার পথে ভয়াবহ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সাতজনের। আরিয়ান এভিয়েশনের এই হেলিকপ্টারে পাইলট ছাড়াও ছিলেন ছয়জন তীর্থযাত্রী। ১০ মিনিটের এই যাত্রার মাঝপথে, গৌরিকুণ্ড ও সোনপ্রয়াগের মাঝে ঘন জঙ্গলে ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টারটি।
উত্তরাখণ্ড সিভিল এভিয়েশন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (UCADA) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভোর ৫টা ২০ মিনিটে দুর্ঘটনাটি ঘটে। যাত্রীদের মধ্যে পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং এক ২৩ মাসের শিশু ছিল। পাইলট-সহ সকলের মৃত্যু হয়। দেহগুলি আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
জেলার টুরিজম দপ্তরের রাহুল চৌবে জানিয়েছেন, ফেরার পথে হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হয়ে যায়। উপত্যকা ছেড়ে উঠতে গিয়ে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ ও স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
গঢ়ওয়ালের কমিশনার বিনয় শঙ্কর পাণ্ডে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে কেদারনাথ-বদ্রীনাথ মন্দির কমিটির এক কর্মীও ছিলেন। বাকিরা উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের বাসিন্দা।
নিহতদের মধ্যে মহারাষ্ট্রের ইয়বতমালের জয়সওয়াল পরিবারের তিন সদস্য ছিলেন—রাজকুমার জয়সওয়াল, শ্রদ্ধা জয়সওয়াল ও তাঁদের ২৩ মাসের কন্যা কাশী। তবে অলৌকিকভাবে রক্ষা পেয়েছে তাঁদের ছেলে বিবান, যিনি দাদার সঙ্গে থেকে যান।
এই নিয়ে গত ছয় সপ্তাহে উত্তরাখণ্ডে পঞ্চম হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা ঘটল, যা প্রশ্ন তুলছে পাহাড়ি অঞ্চলে উড়ান নিরাপত্তা নিয়ে।