রাজ্যের পুরসভা নির্বাচনে অর্থের বিনিময়ে প্রার্থী হওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, এমনই অভিযোগ উঠল এবার রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, বিজেপির অন্দরে টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে পৌরসভার নির্বাচনী টিকিট। আর এই ঘটনারই প্রতিবাদে ডানকুনিতে গণস্বাক্ষর করে পদত্যাগ করতে দেখা গেল একঝাঁক বিজেপি নেতা এবং কর্মীকে। যাঁদের অভিযোগ, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করছেন কিন্তু তাঁদের বঞ্চিত করে স্রেফ অর্থের বিনিময়ে প্রার্থী বেছে নিয়েছে তাঁদের দল বিজেপি।
খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের পুর নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি শিবির। যাঁরা পদত্যাগ করেছেন তাঁরা বিজেপির সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
যদিও এখনও রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের আশা, বিষয়টি দ্রুত মিতে যাবে এবং সমাধান হয়ে যাবে। পদত্যাগী এই নেতা ও কর্মীরা সংখ্যায় প্রায় ৫০ জন বলেও জানা গিয়েছে।
এই পুরসভা এলাকার দীর্ঘদিনের কর্মী প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি প্রণব পাল ইতিমধ্যেই নির্দল হিসেবে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পদত্যাগী স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, যখন তাঁরা বিজেপি করা শুরু করেন তখন ওই এলাকায় কেউ বিজেপি করত না। অথচ নির্বাচনে তাঁদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই টিকিট বণ্টন করা হয়ে গেল। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা প্রকাশ রাহা বলেন, এটাই স্বাভাবিক ছিল। এই কর্মী ও নেতারা দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি করছেন। এঁরাই বিজেপির ভিতটা তৈরি করেছেন। বিজেপির অনেকেই আছেন যাঁরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ডানকুনি পুরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী এবং বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দেবাশিস মুখার্জি জানিয়েছে, দু’একদিনের মধ্যেই সব ঠিক হয়ে যাবে।