লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্ষীয়ান নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবর্তে এই দায়িত্ব পেলেন তিনি। সোমবার দিল্লিতে তৃণমূলের সংসদীয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি বাদল অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি। এমন পরিস্থিতিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। তবে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে অভিষেকের কাঁধে পড়ল দলের সংসদীয় নেতৃত্বের ভার।
একইসঙ্গে লোকসভায় চিফ হুইপের পদ থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণ পদত্যাগ করতেই লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক করা হয়েছে কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে।
কেন তিনি পদ ছাড়লেন, সে বিষয়েও মুখ খুলেছেন কল্যাণ নিজেই। শ্রীরামপুরের সাংসদ বলেন, ‘মমতাদি অভিযোগ করেছেন লোকসভায় সমন্বয় ঠিক মতো হচ্ছে না, ফলে আঙুল তো আমার দিকে তোলা হচ্ছে। তাই আমি ছেড়ে দিলাম।” শুধু তাই নয়, কল্যাণ অভিযোগের সুরে আরও বলেন, ”দিদি বলছেন ঝগড়া করছি। যাঁরা আমাকে গালাগাল দেয়, তা শুনে আমি কি সহ্য করব? দলকে জানিয়েছি, দল আমাকেই উল্টে দায়ী করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাল ভাবে দল চালাক৷ আমার পদত্যাগে লোকসভায় ভাল হলে, সেভাবেই দল চলুক।’’