একুশের বিধানসভা ভোট থেকে চব্বিশের লোকসভা— টানা দু’বার বনগাঁয় পদ্মশিবিরের দখল। কিন্তু আসন্ন ২০২৬ বিধানসভা ভোটে এই সমীকরণ বদলানোই এখন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান লক্ষ্য। সোমবার ক্যামাক স্ট্রিটে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে সেই সুরেই কৌশল বেঁধে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ বার্তা, “মতুয়া গড়ে জিততে হবে। দ্বিতীয় কোনও কথা নেই। সবাই একজোট হয়ে মাঠে নামুন।”
বনগাঁ উত্তর ও বনগাঁ দক্ষিণ— দুটি আসনই ২০২১ বিধানসভা ভোটে গিয়েছিল বিজেপির ঝুলিতে। ২০২৪ লোকসভাতেও পদ্মশিবির বনগাঁ ধরে রাখে। ফলে ছাব্বিশের লড়াইকে ঘিরে এখন থেকেই শাসক শিবিরে চাপা উদ্বেগ। সেই প্রেক্ষিতেই অভিষেক প্রশ্ন তুলেছেন— “মতুয়াদের মধ্যে বিজেপির ভোট বাড়ছে কেন? এই কারণ খুঁজে বের করে সংগঠনকে আরও শক্ত করুন।”
এদিন বৈঠকে বনগাঁয় অভিষেকের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচির সময় ঠাকুরবাড়ি সফর ঘিরে অশান্তির ঘটনাও উঠে আসে। অভিযোগ, ২০২৩ সালে অভিষেককে ঠাকুরবাড়িতে প্রবেশে বাধা দিয়েছিল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সেই স্মৃতিই ফের মনে করিয়ে দিয়ে অভিষেক বলেন, এবার আর কোনও ভুল করা যাবে না।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালার ঠাকুর, বাগদার বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর, প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস-সহ বনগাঁ সাংগঠনিক নেতৃত্ব। সকলের উদ্দেশেই অভিষেকের বার্তা, ছাব্বিশে বনগাঁ ফেরাতেই হবে।
তৃণমূলের কাছে বনগাঁ কেবল একটি আসন নয়, বরং মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোটব্যাঙ্ক দখলের প্রতীক। ফলে ২০২৬ বিধানসভায় বনগাঁতে সবুজ ঝড় ফেরাতে মরিয়া রাজ্যের শাসক শিবির।