আড়ি পাতা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোরের ফোনেও, চাঞ্চল্যকর তথ্য রিপোর্টে

ডেস্ক: পেগাসাস কাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ। বিরোধী নেতা থেকে বিচারপতি, ভোটকুশলী থেকে সাংবাদিক-আড়ি পাতা হয়েছে সকলের ফোনে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই তালিকায় রয়েছে তৃণমূল সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও।  নতুন রিপোর্ট সামনে এল। অর্থাৎ অভিষেকের কাছে কার ফোন আসত, কার সঙ্গে তিনি কী কথা বলতেন, সবকিছুর উপরই চলত নজরদারি। অভিযোগ, রেহাই পাননি ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরও। তাঁর ফোনেও আড়ি পাতা হয়েছিল বলে দাবি করেছে প্রচলিত সংবাদমাধ্যম।


মনে করা হচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূলের ভোট কৌশলির হয়ে যাঁরা কাজ করেছিলেন, তাঁদের অনেকের ফোন নম্বরই ওই তালিকায় রয়েছে। শুধু তাই নয়, নতুন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে রাহুল গাঁধীর ফোনেও আড়ি পাতা হয়। আড়ি পাতা হয়েছিল রাহুলের কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুর ফোনেও।
যদিও এ বিষয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। অন্যদিকে, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর একাধিক স্ংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “পরপর পাঁচবার মোবাইল বদল করেছি। তার পরেও হ্যাকিং বন্ধ হয়নি।” তবে তিনি আরও জানিয়েছেন, “বাংলার ভোটের আগে থেকে যদিও এই আড়ি পাতা শুরু হয়ে থাকে। তাহলে এটা স্পষ্ট যে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এর কোনও প্রভাব পড়ছে না।”


প্রশান্ত কিশোরের কথায়,’বাংলার ভোটের সময় পরীক্ষামূলকভাবে এই ধরনের পন্থা অবলম্বন করলে বুঝতে হবে জনমতে কোনও প্রভাবই পড়ে না। এটা তো অস্বীকার করার জায়গা নেই, ক্ষমতার ব্যবহার করে বেআইনিভাবে আড়িপাতা হয়েছিল।’ ফোনে আড়িপাতা টের পেয়েছিলেন বলে দাবি প্রশান্তের। তাঁর কথায়,’পাঁচবার হ্যান্ডসেট বদলেছি। তা-ও হ্যাকিং বন্ধ করতে পারিনি। সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগেও হ্যান্ডসেট বদলে দিয়েছিলাম।’   

আরও পড়ুন: একুশের ২১ জুলাই ভার্চুয়াল সমাবেশ, কর্মী সংখ্যায় রেকর্ড গড়তে চলেছে তৃণমূল


ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার ‘পেগাসাস’ টার্গেট করেছে রাহুল গান্ধী ও নতুন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকেও। সংবাদ সংস্থার দাবি, ৩০০টি মোবাইলে আড়িপাতা হয়েছিল। এর মধ্যে দু’টি রাহুল গান্ধীর নম্বর। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তাঁর নম্বরে আড়িপাতা হয়েছিল। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতে ৩০০র বেশি ফোনে মোদী সরকার এই ভাবে আড়ি পাতার চেষ্টা চালিয়েছিল বলে ‘পেগাসাস প্রোজেক্ট’ নামে একটি তদন্ত রিপোর্টে দাবি। ভারত-সহ ১৬টি দেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা মিলে এই তদন্ত চালিয়েছেন। তবে সরকারের দাবি, নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের উপরে সরকারি নজরদারির অভিযোগ ভিত্তিহীন। যে কোনও ফোনে আড়ি পাতা, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে নজরদারিতে সরকারি অনুমতি থাকে। আইন মেনেই ফোনে আড়ি পাতা হয়।

Related posts

‘যাঁরা বলতেন বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না, আজ তাঁরাই উদ্বোধন করছেন’— অমিত শাহকে তীব্র কটাক্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পুজো উদ্বোধনে অমিত শাহ, মঞ্চ থেকেই বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের ডাক

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, সব মামলাতেই মুক্তি—জেলমুক্তি কবে?