মন্ত্রী হওয়ার লালসায় ইস্তফা দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক, দাবি অভিষেকের!
ডেস্ক: দিনহাটা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহর হয়ে সোমবার সভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিনের সভায় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনহিতকর প্রকল্পগুলোর কথা তুলে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি-কে আগাগোড়া নিশানা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
এ দিন বক্তৃতার শুরুতেই অভিষেক বলেন, “আমরা এমন একটা সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছি, যেখানে দুর্গাপুজো, কালীপুজোর মধ্যে আমাদের নির্বাচনী প্রচার করতে হচ্ছে। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে? নির্বাচন কমিশন গত মাসে চারটে উপনির্বাচন ঘোষণা করেছিল। সেগুলো হল শান্তিপুর, দিনহাটা, খড়দহ এবং গোসাবায়। গোসাবা এবং খড়দহে তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিকরা জিতেছিলেন। কোভিড-পরিস্থিতিতেও মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে পরলোকগমন করেছেন দুই বিধায়ক”।
এর পরই তিনি বলেন, “শান্তিপুর আর দিনহাটায় উপনির্বাচন হচ্ছে কেন, মানুষের রায় প্রত্যাখ্যান করে, কেউ কেউ রাজ্যের মন্ত্রী হবেন বলে, নিজেদের লালসা চরিতার্থ করবেন বলে মানুষের ভালোবাসা, আবেগকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। সাংসদ হবেন, মন্ত্রী হবেন, তা হলে দিনহাটায় দাঁড়ালেন কেন? কী ভেবেছিলেন, বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে? তার পরে মন্ত্রী হবেন”?
গত বিধানসভা ভোটে দিনহাটা থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। তাঁকে কটাক্ষ করে অভিষেক এ দিন বলেন, “এখানে মন্ত্রী হতে পারেননি, সান্ত্বনা পুরস্কারটা কেন্দ্রে দিয়েছে। বাংলা থেকে মন্ত্রী হলে তো ভালো, কিন্তু কী কাজ হয়েছে বাংলার জন্যে”?
আরও পড়ুন: ১৫ নভম্বর থেকে খুলছে স্কুল, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বিজেপি-কে নিশানা করে অভিষেক বলেন, “কোচবিহারে বিজেপি অনেক সভা করেছে। বিধানসভা ভোটের সময় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখানে দাঁড়িয়ে একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছেন। একটা প্রতিশ্রুতি পালন করেননি। তিনি বলেছিলেন, আমরা নারায়ণী সেনা করব। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমরা নারায়ণী ব্যাটালিয়ান করব। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো মেখলিগঞ্জে শুরু হয়ে গিয়েছে নারায়ণী ব্যাটালিয়ানের হেড কোয়ার্টার তৈরির কাজ। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের টিকিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এটাই হচ্ছে পার্থক্য”।
আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের আরও তিন কেন্দ্রের সঙ্গেই ভোটগ্রহণ দিনহাটায়। অভিষেক এ দিন একই সঙ্গে বলেন, “তিন মাসের মধ্যে গোয়ায় জোড়াফুল ফুটবে। ভারতবর্ষকে পথ দেখাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। এমন ভাবে ভোট দিন, পদ্মফুল যেন সর্ষেফুল দেখে”।