বিগত কয়েক মাসের মধ্যে একের পর এক নক্ষত্র পতনের সাক্ষী বাংলার মানুষ। এবার ফের একবার নক্ষত্র পতন বাংলা চলচ্চিত্র জগতে। বাংলার সংস্কৃতিক জগৎ থেকে হারিয়ে গেল আরও একটি নাম। প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়।
বুধবার মধ্যরাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন প্রয়াত অভিনেতা। মাত্র ৫৭ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন অভিষেক। বৃহস্পতিবার সকালে অভিনেতার মৃত্যুর খবর জানতে পারার পরেই শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা বাংলা সিনেমা জগৎ।
অভিষেকের প্রয়াণে শোকবার্তা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর শোকবার্তায় জানান, “অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি গতকাল গভীর রাতে কলকাতায় প্রয়াত হন। তাঁর প্রয়াণে অভিনয় জগতে এক শূন্যতার সৃষ্টি হল। আমি অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে ২০১৫ সালে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়কে বিশেষ চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক অভিনীত ‘খড়কুটো’ ও ‘মোহর’ ধারাবাহিকের তাঁর অভিনয়ের অত্যন্ত প্রশংসা করেন।
এখানে উল্লেখ্য, অভিষেকের অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হল ‘পথভোলা’, ‘সুরের আকাশে’, ‘পাপী’, ‘শেষ প্রতীক্ষা’, ‘সীমান্ত পেরিয়ে’, ‘রাত্রি শেষের তারা’, ‘আলো’ ইত্যাদি। এছাড়া ‘টাপুর টুপুর’, ‘চোখের তারা তুই’, ‘ফাগুন বৌ’, সহ বহু জনপ্রিয় টিভি সিরিয়ালেও তিনি অভিনয় করেছেন।
জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। বুধবার এক রিয়েলিটি শো-তেও অংশ গ্রহণ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। শুটিং চলাকালীন সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর বুধবার মধ্যরাতের দিকে নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয় অভিষেকের।