কলকাতা : তরুণ প্রজন্মকে আরও কাছে টানতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নতুন কর্মসূচি নিচ্ছে তৃণমূল। রাজনীতির বাইরের জগৎ থেকে এসে নির্বাচনী রাজনীতিতে চূড়ান্ত সফল হয়েছেন যারা, অর্থাৎ ‘তারকা রাজনীতিক’রা অংশ নেবেন এই কর্মসূচিতে। শতাব্দী রায়, মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, দেব, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, লক্ষ্ণীরতন শুক্লা, ব্রাত্য বসু, মহুয়া মৈত্র এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন রয়েছেন এই তালিকায়।
শতাব্দী, মিমি, নুসরত, দেব এরা প্রত্যেকেই সিনেমা জগৎ থেকে রাজনীতিতে এসেছেন এবং সফল হয়েছেন। প্রসূন প্রাক্তন ফুটবলার এবং লক্ষ্ণী প্রাক্তন ক্রিকেটার। দু’জনেই দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলেছেন। ব্রাত্য বসু আদতে নাট্যব্যক্তিত্ব। রাজনীতিতে আসার আগে মহুয়া ছিলেন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার। পরিচিত কুইজমাস্টার, বিজ্ঞাপন জগতের মানুষ ছিলেন ডেরেক। পরে বেছে নিয়েছেন মাঠঘাটের রাজনীতি।
আগামী বিধানসভা ভোটে তরুণ প্রজন্মের একটি বড় ভূমিকা থাকবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক দলগুলি। এই ‘রাজনীতি-বিমুখ’ তরুণ প্রজন্মের সামনেই আটজনের দৃষ্টান্ত রাখতে চাইছে তৃণমূল। যাতে ওই তারকারা বলতে পারেন, রাজনীতির জগতটা ‘অচ্ছুত’ নয়। বা রাজনীতির লোক মানেই ‘অপাংক্তেয়’ নয়।
মিমি চক্রবর্তী ইতিমধ্যেই যাদবপুর এবং আশেপাশে জনসংযোগের কাজ করছেন। ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প নিয়ে সরাসরি প্রচার না করলেও, স্থানীয়দের অভাব, অভিযোগ মন দিয়ে শুনে তার সুরাহার ব্যবস্থা করছেন। বসিরহাটের তারকা সাংসদ নুসরতও মিমির মতোই ভরসাযোগ্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। করোনাকালে অনেকের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দেব।
লোকসভায় বক্তব্য ‘ভাইরাল’ হওয়ার পর সর্বভারতীয় পরিচিতি পেয়েছেন মহুয়া। অন্যদিকে ব্রাত্য বসুকে দিয়ে নিয়মিত সাংবাদিক বৈঠক করাচ্ছে তৃণমূল। আন্দোলনরত কৃষকদের কাছে যাচ্ছেন ডেরেক।
তারকাদের এই কর্মস্পৃহাকে কাজে লাগিয়ে ‘দুয়ারে সরকার’কে আরও জনপ্রিয় করে তোলার পরিকল্পনা তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্বের। বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসবে, তত বেশি এই তারকাদের প্রচারে ব্যবহার করবে তৃণমূল।