সরকারিভাবে প্রত্যাহার হয়ে গেল কৃষি আইন। কৃষকদের জোরকদমে চলা আন্দলনের পর ১৯ নভেম্বর গুরু নানকের জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেন।
তারপরেই সোমবার শীতকালীন আধিবেশনে সংসদের দুই কক্ষে আলোচনায় পাশ হয়ে যায় কৃষি প্রত্যাহার বিল। সূত্রের খবর, বুধবার রাষ্ট্রপ্রতি রামনাথ কোবিন্দ এই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিলে স্বাক্ষর করেন। ফলে কৃষি আইন প্রত্যাহার আইনি স্বীকৃতি পেল।
বিরোধীদের দাবি, কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কৃষক রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তারা গত নভেম্বর মাস থেকে ‘কালাকানুন’ প্রত্যাহার এর দাবিতে আন্দোলন করছিলেন এতদিন। এর ফলেই কৃষি আইন প্রত্যাহারের মত ব্যাতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষকদের আন্দোলন সফল হল।
যদিও এরপরেও এখনই এটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় যে, এতদিন ধরে যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন কৃষকরা, সেই আন্দোলন থেকে তাঁরা পুরোপুরি সরে আসবেন। কারণ প্রধানমন্ত্রীর কৃষি বিল প্রত্যাহারের ঘোষণার পরেও বর্তমান কৃষক আন্দোলনের নেতারা এখনই আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসবেন না বলেই জানিয়েছিলেন। এখন তাই সবার চোখ থাকবে সেদিকেই ।