সর্বভারতীয় স্পিকার সম্মেলন, রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তোপ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের

ডেস্ক: সর্বভারতীয় স্পিকার সম্মেলনে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ‘লোকসভার সদস্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপে নিতে গেলে লোকসভার অধ্যক্ষর অনুমতি নিতে হয়। বিধানসভার ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। কিন্তু   বিধানসভার ক্ষেত্রে অন্য জায়গা থেকে অনুমোদন নেওয়া হচ্ছে। এটা বিধানসভার মর্যাদার পরিপন্থী।


কেন্দ্রীয় এজেন্সির পাশাপাশি বিধায়কদের একাংশ এবং রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকারদের সর্বভারতীয় সম্মেলনে রোল অফ লেজিসলেটর অ্যান্ড মিনিংফুল ডেমোক্রেসি বিষয়ে আলোচনায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে না জানিয়ে কাজ করছে। এব্যাপারে তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রসঙ্গ স্মরণ করিয়ে দেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কেউ কেউ বিধানসভার একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করছেন। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধানসভার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন রাজ্যপাল। 

আরও পড়ুন: ভবানীপুরের গুরুদ্বারে জনসংযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


এদিন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধানসভা বিষয় নিয়ে সদস্যদের আদালতের দ্বারস্থ হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, যেসব সমস্যার সমাধান আলোচনাতেই হতে পারে, তা নিয়ে সদস্যরা আদালতে যাচ্ছেন। আর আদালতও সেইসব মামলা গ্রহণ করছে। তিনি বলেন, যে বিষয়ে বিধানসভায় বিচার পাওয়া যায়, তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আদালতে। এব্যাপারে বিধানসভার গরিমা নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।


রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিধানসভার অনেক বিধায়ক চলে যাচ্ছেন রাজ্যপালের কাছে।  অভিযোগ শুনে বিধানসভার খুঁটিনাটি বিষয়ে নাক গলাচ্ছেন রাজ্যপাল। 

Related posts

‘যাঁরা বলতেন বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না, আজ তাঁরাই উদ্বোধন করছেন’— অমিত শাহকে তীব্র কটাক্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পুজো উদ্বোধনে অমিত শাহ, মঞ্চ থেকেই বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের ডাক

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, সব মামলাতেই মুক্তি—জেলমুক্তি কবে?